কেউ কেউ মাস্ক পরলেও বেশির ভাগই বেপরোয়া। আলিপুরদুয়ারে।
স্বাস্থ্য দফতর মঙ্গলবারই কোভিড-বিধি প্রকাশ করেছে। তাতে কিছু ক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই গরমে মাস্ক ব্যবহারে অনীহা দেখাচ্ছেন অনেকে। কেউ কেউ আবার বলছেন, মাস্ক সর্ব সময়ের সঙ্গী হলেই ভাল। এক সময়ে নানা ধরনের মাস্কে ভরে গিয়েছিল বাজার। রেসপিরেটর মাস্ক যেমন এন-৯৫, এন-৯৯, এন-১০০, এফেক্টিভ–ওয়ান, এফেক্টিভ-টু, এফেক্টিভ-থ্রি। এ ছাড়া, দুই স্তর, তিন স্তরের সার্জিকাল মাস্ক, সিঙ্গল লেয়ার মাস্ক, ডাস্ট মাস্ক, কাপড়ের সাধারণ মাস্ক, বাইক চালানোর জন্য মাস্কও ছিল। এ বার অবশ্য ততটা হইচই নেই। অসুস্থ বা শিশুদের বাইরে বেরনোর ক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শদেওয়া হয়েছে।
কোচবিহার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকান্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘এখন কোভিড নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে কোভিড-বিধি মেনে চলা প্রয়োজন। বাইরে থেকে এসে হাত ধুয়ে নিতে হবে। শিশুদের বাড়িতে রাখাই ভাল। অসুস্থ কেউ বাইরে গেলে, মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। ভিড় এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে।’’ ইতিমধ্যেই জেলার স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। প্রয়োজনীয় কী-কী পদক্ষেপ করতে হবে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’’
করোনা সংক্রমণ দ্রুত বাড়তেই নয়া নির্দেশিকা জারি হয়েছে রাজ্যে। যে নির্দেশিকায় লোকজনের মধ্যে যেতে হলে মাস্ক পরার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সে নির্দেশিকা মেনে চলার কোনও লক্ষণ অবশ্য আলিপুরদুয়ারে এখনও বিশেষ দেখা যায়নি বলে অভিযোগ। বরং, বাজার-হাট থেকে শুরু করে জেলার নানা জায়গায় মাস্কহীন ভিড়ই দেখা যাচ্ছে বেশি। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, আলিপুরদুয়ারে এই মুহূর্তে করোনায় আক্রান্ত রোগী নেই। কিন্তু রাজ্যের নির্দেশিকা পালনে প্রচার চালানো হচ্ছে।
আলিপুরদুয়ারের ডেপুটি সিএমওএইচ কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যের নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, ভিড় ও জনবহুল জায়গা যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে, লোকজনের মধ্যে যেতে হলে, মাস্ক পরতে হবে। জ্বরের পাশাপাশি সর্দি, কাশি ও গলা ব্যথার সমস্যা বাড়লে অবশ্যই কোভিড পরীক্ষা করতে হবে। বয়স্ক, বিশেষ করে যাঁদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদের সাবধান থাকতে জেলা জুড়ে প্রচারশুরু হয়েছে।” (নিজস্ব চিত্র)