India

‘চেকপোস্ট বন্ধ, এবার খাব কী?’

এ দিন এই সীমান্ত দিয়ে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি দেশে ফিরে গেলেন।

Advertisement

সজল দে

চ্যাংরাবান্ধা শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২০ ০৩:২৫
Share:

ফেরা: সীমান্ত পথে দু’পারের নাগরিকেরা ফিরছেন নিজের দেশে। শনিবার চ্যাংরাবান্ধায়। নিজস্ব চিত্র

দেশের প্রায় সমস্ত আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধের পর শুক্রবার থেকেই দেশে ফেরার হিড়িক পড়েছে ভারতীয় ও বাংলাদেশিদের মধ্যে। যার জেরে শনিবার সকাল থেকেই তৎপরতা লক্ষ করা গেল মেখলিগঞ্জের চ্যাংরাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে। ভিসার পর্যাপ্ত মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও দু’দেশের অনেকেই তড়িঘড়ি নিজের দেশে ফিরে যাচ্ছেন।

Advertisement

এ দিন এই সীমান্ত দিয়ে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি দেশে ফিরে গেলেন। অন্যদিকে, কয়েকজন ভারতীয়কেও তড়িঘড়ি ফিরে আসতে হল এই সীমান্ত দিয়ে। ময়নাগুড়ির বাসিন্দা সৌভিক বিশ্বাস বাবার কর্মসূত্রে ঢাকায় থাকে। সেখানেই একটি হাইস্কুলের দশম শ্রেণিতে পড়ে। এ দিন সে-ও দেশে ফিরে আসে। তার মতো অনেকেই ভিসা শেষ হওয়ার আগেই এ দিন তড়িঘড়ি ভারতে ফিরে এসেছেন।

মেখলিগঞ্জের বাসিন্দা তপন সাহার এ দিন সপরিবার বাংলাদেশে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। চেকপোস্ট বন্ধের জেরে শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করতে হয়েছে। সীমান্তে দুই দেশের যাতায়াতকারীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় মাথায় হাত ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট এলাকায় পণ্যবাহকের কাজে যুক্ত ইমরান আলির। চেকপোস্টে এই কাজ করেই তাঁর দিন গুজরান হয়। এ দিন তাঁর কথায়, ‘‘চেকপোস্ট বন্ধ থাকলে আমার রোজগার পুরো বন্ধ হয়ে যাবে। খাব কী তখন?’’ তাঁর মতো অনেকেই এই চেকপোস্ট এলাকায় সেই বিপদের দিনের আশঙ্কায় আপাতত কাঁটা হয়ে আছেন।

Advertisement

ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন থেকে বিদেশি ও পর্যটকদের জন্য চেকপোস্ট বন্ধ হলেও ভারতীয় ও বাংলাদেশিদের দেশে ফেরার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই। তবে নয়া নির্দেশিকার প্রভাবে চেকপোস্টের অন্যদিনের ভিড়টা এ দিন দেখা যায়নি। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ মানুষ যাতায়াত করলেও এ দিন সেই সংখ্যাটা কমবেশি ৩৫০-তে নেমে দাঁড়িয়েছে। তবে ইউরোপ অথবা এশিয়ার অন্য দেশের পর্যটকেরা এই সীমান্ত দিয়ে যাতায়াত করেন না বললেই চলে। তাছাড়া, বহির্বাণিজ্য নিয়ে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়নি। ফলে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বন্ধ থাকলেও এ দিন সকাল থেকেই এই সীমান্ত দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ ও ভুটান-বাংলাদেশের মধ্যে বহির্বাণিজ্য হয়েছে।

চ্যাংরাবান্ধা এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিমল ঘোষ বলেন, ‘‘বহির্বাণিজ্য বন্ধ নিয়ে কোনও নির্দেশিকা তাঁরা পাননি। এ দিন বাণিজ্য স্বাভাবিক ছিল। যদিও নয়া নির্দেশিকার কিছুটা প্রভাব পড়েছে বলে জানান মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্রের মালিক অভিষেক সাহা এবং কর্মী বিমল বসাক।’’

তাঁরা জানালেন, নির্দেশিকা জারির প্রথম দিনেই দুই দেশের মধ্যে যাতায়াতকারী মানুষের সংখ্যা যতটা কমেছে, তাতে এরপর সেই সংখ্যা আরও কমার সম্ভাবনা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন