Coronavirus in Lockdown

কোন ট্রেনে শ্রমিক কত জন, হিসেবে হিমশিম

সোমবার সকালে হায়দরাবাদ থেকে শ্রমিকদের নিয়ে বিশেষ ট্রেন পৌঁছয় মালদহ টাউন স্টেশনে। রেল সূত্রে খবর, ট্রেনে ১ হাজার ৪৯২ জন যাত্রী ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ ও বুনিয়াদপুর শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২০ ০৬:১৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিশেষ ট্রেনে কত জন শ্রমিক ফিরছেন, সেই সংক্রান্ত তথ্য আগে জানতে না পারায় সমস্যায় পড়ছে পুলিশ-প্রশাসন। ভিন্ রাজ্যে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকের পরিসংখ্যানও নেই জেলা প্রশাসনের হাতে। সমস্যা হচ্ছে তাতেও। হিসেবের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা।

Advertisement

সোমবার সকালে হায়দরাবাদ থেকে শ্রমিকদের নিয়ে বিশেষ ট্রেন পৌঁছয় মালদহ টাউন স্টেশনে। রেল সূত্রে খবর, ট্রেনে ১ হাজার ৪৯২ জন যাত্রী ছিল। তাঁদের মধ্যে মালদহের ৪৭৭, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের ৭৯ ও ১২ জন শ্রমিক ছিলেন। বাঁকুড়া, নদিয়া, মুর্শিদাবাদের মতো জেলারও শ্রমিকেরাও ছিলেন। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহের শ্রমিকদের স্টেশনেই লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় সরকারি কোয়রান্টিন কেন্দ্রে। অন্য শ্রমিকদের বাসে ফেরানো হয় নিজের নিজের জেলায়। এ দিনই বিকেলে মালদহে বেঙ্গালুরু থেকে বিশেষ ট্রেন পৌঁছয়। তাতেও হাজারখানেক যাত্রী ছিলেন।

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৫ জুন পর্যন্ত ২৪টি বিশেষ ট্রেন মালদহ টাউন স্টেশনে আসবে। আরও ৩২টি ট্রেন মালদহের উপর দিয়ে যাবে। সেই ট্রেনগুলিতেও মালদহের শ্রমিকদের ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “ট্রেনগুলিতে কোন জেলার কত যাত্রী রয়েছেন, সেই বিষয়ে আগাম জানানো হচ্ছে না। জেলার পরিযায়ী শ্রমিকদের বিষয়েও আগাম তথ্য না জানানোয় লালারসের নমুনা পরীক্ষা করতেও সমস্যা হচ্ছে।”

Advertisement

কেউ হেঁটে তো কেউ ট্রাকে ফিরছেন দক্ষিণ দিনাজপুরেও। ভিন্ রাজ্য থেকে কাতারে কাতারে জেলায় ঢুকছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। কিন্তু তাঁদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ উঠেছে। তাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

ভোপাল থেকে ফেরা শ্রমিকদের একটি দলের অধিকাংশেরই জ্বর রয়েছে৷ কিন্তু জেলায় এসে পৌঁছলেও তাঁদের খোঁজ নেয়নি প্রশাসন, এমনই অভিযোগ। ওই পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি ফিরতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। অভিযোগ, বাড়িতে ফেরার পরেও দ্রুত তাঁদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হচ্ছে না। প্রান্তিক ওই সব শ্রমিকদের বাড়িতে ‘হোম কোয়রান্টিনে’ থাকার মতো ব্যবস্থাও নেই। ফলে পরিবারের অন্যদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকছে। গ্রামেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে বাসিন্দারা আশঙ্কা করছেন। তবে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের তথ্য সংগ্রহ করার কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রয়োজনে তাঁদের কোয়রান্টিন সেন্টারেও নিয়ে যাওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন