Coronavirus in North Bengal

এগিয়ে দিল পুল টেস্টই

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, রবিবার নতুন করে জেলায় করোনা পরীক্ষার তিনটি ‘পজ়িটিভ’ রিপোর্ট এসেছে। তিন জনই পরিযায়ী শ্রমিক এবং মহারাষ্ট্র থেকে জেলায় ফেরেন। এতে জেলায় আক্রান্ত বেড়ে হল ১৪৩ জন।

Advertisement

জয়ন্ত সেন

মালদহ শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২০ ০৫:০৩
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

নমুনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে বকেয়ার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মালদহ ও দুই দিনাজপুরে লালারস সংগ্রহের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। ক্ষোভ ছিল সাধার‌ণ মানুষের একাংশেও। শেষ পর্যন্ত লালারস নমুনার ‘পুল টেস্ট’-এ জোর দেয় প্রশাসন। তাতেই সাত দিনে সাড়ে ৪ হাজারের বেশি বকেয়া নমুনার পরিমাণ এক হাজারে নামল মালদহ মেডিক্যালের ভাইরোলজি ল্যাবে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বকেয়ার সংখ্যা কমাতে দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে সংগ্রহ করা লালারসের এক হাজার নমুনা পরীক্ষার জন্য মুর্শিদাবাদে পাঠানো হয়।

Advertisement

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, রবিবার নতুন করে জেলায় করোনা পরীক্ষার তিনটি ‘পজ়িটিভ’ রিপোর্ট এসেছে। তিন জনই পরিযায়ী শ্রমিক এবং মহারাষ্ট্র থেকে জেলায় ফেরেন। এতে জেলায় আক্রান্ত বেড়ে হল ১৪৩ জন।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, মালদহ মেডিক্যালের ভাইরোলজি ল্যাবে ১৪ এপ্রিল থেকে একটি পিসিআর মেশিন দিয়ে লালারসের নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। দু’সপ্তাহ আগে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরবিদ্যা বিভাগ থেকে একটি ‘রিয়েল টাইম পিসিআর মেশিন’ ওই ল্যাবে আনা হয়।

Advertisement

কয়েক দিন ধরে মালদহ ও দুই দিনাজপুরে ভিন্‌ রাজ্য থেকে শ্রমিকরা ফিরতে শুরু করেন। ফলে তিন জেলাতেই নমুনা সংগ্রহের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু এই ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার হার কম থাকায়, বাড়তে থাকে ‘ব্যাকলগ’। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৬ মে বকেয়া নমুনার সংখ্যা পৌঁছেছিল ৪৫৬৩-এ। শেষ পর্যন্ত একক নমুনা পরীক্ষা কমিয়ে ‘পুল টেস্টে’ জোর দেওয়া হয়। তাতে একসঙ্গে পাঁচ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছিল। তার জেরে রবিবার বকেয়া নেমে দাঁড়ায় ৯৯৭-এ। রবিবার ৯৩০টি পুল টেস্ট করা হয় এই ল্যাবে। মালদহ মেডিক্যালের সহকারী অধ্যক্ষ অমিত দাঁ বলেন, ‘‘এই সমস্যা দ্রুত মিটে যাবে।’’

রবিবার রাতে মহারাষ্ট্র থেকে ট্রেনে ফেরা একাধিক শ্রমিকের অভিযোগ, মালদহ স্টেশনে শুধু তাঁদের নাম আর ফোন নম্বর নেওয়া হয়েছে। পরে হাতের আঙুলে কালি লাগিয়ে বাসে কোয়রান্টিন সেন্টারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সকলের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করার মতো পরিকাঠামো নেই। যাঁদের বাহ্যিক উপসর্গ থাকছে, তাঁদেরই নমুনা নেওয়া হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন