প্রতীকী ছবি।
করোনা সংক্রমণ ক্রমেই বাড়ছে। মৃত্যুও ঘটছে। তার মধ্যে প্রতিষেধকের অভাব। তার জেরে নাম নথিভুক্ত করিয়েও প্রতিষেধক না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে অনেককে। স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্রেই জানা গিয়েছে, দার্জিলিং জেলায় প্রতিদিন ৯-১০ হাজারের মতো প্রতিষেধক দরকার। মঙ্গলবার সকালে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে ৮ হাজার কোভিশিল্ড টিকা ছিল। কোভ্যাকসিন ছিল ৫৭০০-এর মতো। এদিন প্রতিষেধক কর্মসূচি চলার পর দিনের শেষে সব মিলিয়ে ৮ হাজারের মতো প্রতিষেধক রয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের হাতে। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে পাঠানো ৪ হাজার কোভিশিল্ড প্রতিষেধক এদিন রাতে পৌঁছনোর কথা। তা দিয়ে ১৪ এবং ১৫ এপ্রিল চালানো সম্ভব হবে বলে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিযে দিয়েছেন। জেলায় অন্তত ১৭টি নার্সিংহোমে প্রতিষেধক দেওয়ার কেন্দ্র করা হয়েছিল। প্রতিষেধকের সরবরাহ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
তাতে এখন থেকেই বাসিন্দারা প্রতিষেধক নিতে ওই সমস্ত বেসরকারি কেন্দ্রে গেলে তাদের সাফ জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে কবে প্রতিষেধক মিলবে তা তারা বলতে পারবেন না। অনেকের নাম এদিন পর্যন্ত নথিভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু প্রতিষেধক মেলেনি। সুভাষপল্লির বাসিন্দা দেবু চক্রবর্তী বলেন, ‘‘প্রতিষেধক নিতে হাকিমপাড়ার একটি নার্সিংহোমে নাম নথিভুক্ত করিয়েছি। এ দিন প্রতিষেধক নেওয়ার কথা ছিল। গিয়ে জানলাম প্রতিষেধক নেই। কবে আসবে, তা-ও জানাতে পারছেন না কেন্দ্রের লোকেরা। শুধু বললেন, যোগাযোগ রাখবেন। টিকা এলে দিতে পারব।’’
এর মধ্যে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে করোনার সংক্রমণ নিয়ে সোমবার দু’জন মারা গিয়েছেন। একজন প্রধাননগরের এবং অপরজন মাটিগাড়ার বাসিন্দা। উদ্বিগ্ন বাসিন্দাদের অনেকেই তাই ভ্যাকসিন নিতে ভিড় করছেন। জলপাইগুড়িতে প্রতিদিন আড়াই হাজারের মতো প্রতিষেধক নেন বাসিন্দারা। অথচ প্রতিষেধক মিলছে না শুনে ভিড় বাড়ছে। এদিন চার হাজার জন প্রতিষেধক নিয়েছেন। এ দিন শিলিগুড়ি শহরে ৮৫ জনের দেহে নতুন করে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তার মধ্যে জলপাইগুড়ি জেলার অধীনে থাকা শিলিগুড়ি পুরসভার সংযোজিত ওয়ার্ডের বাসিন্দা রয়েছেন ২৬ জন। দার্জিলিং জেলাতেও নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯০ জন। তার মধ্যে মাটিগড়ায় এবং নকশালবাড়িতে ১১ জন করে আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসকরা জানান, শুধু শহরেই নয়, হুহু করে সংক্রমণ বাড়ছে গ্রামাঞ্চলেও। তাই বাসিন্দারা এখন প্রতিষেধক নিতে চাইছেন অনেকেই।