Coronavirus

করোনা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে মানিকচকে

এ নিয়ে জেলায় ১৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন। এ দিকে, আক্রান্ত বেড়ে চলায় উদ্বেগে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা।

Advertisement

জয়ন্ত সেন 

মালদহ শেষ আপডেট: ২১ মে ২০২০ ০২:০২
Share:

প্রতীকী ছবি।

২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের তিন জনের লালারসে করোনাভাইরাসের খোঁজ মিলল মালদহে। এক জন রতুয়া ২ ও অন্য দু’জন মানিকচক ব্লকের বাসিন্দা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৫১। জেলায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত মানিকচক ব্লকে, ২২ জন। এর মধ্যেই বুধবার শিলিগুড়ি কোভিড হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন মানিকচক ব্লকের নারিদিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা, জেলার প্রথম আক্রান্ত। এ নিয়ে জেলায় ১৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন। এ দিকে, আক্রান্ত বেড়ে চলায় উদ্বেগে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা।

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, নতুন তিন আক্রান্তের মধ্যে এক জন রতুয়া ২ ব্লকের শ্রীপুর ১ পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুরের বাসিন্দা। ২৫ বছরের ওই যুবক অন্য কয়েক জন পরিযায়ী শ্রমিকের সঙ্গে ট্রাক ভাড়া করে মুম্বই থেকে মালদহে আসেন। তিনি মুম্বইয়ে প্লাম্বার ছিলেন। ফিরেই আশ্রয় নেন গোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ১৭ তারিখ কুমারগঞ্জ হাসপাতালে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করার পরে তিনি বাড়িতে যান। রাত দেড়টা নাগাদ ওই যুবককে বাড়ি থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয় নারায়ণপুর বাইপাসের কোভিড হাসপাতালে। এ দিন সকালে গোবিন্দপুর গ্রামে ঢোকার রাস্তা বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেয় পুলিশ। আক্রান্ত যুবক কাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন তাঁদের খোঁজ শুরু হয়েছে। তাঁর বাবা, মা, দুই বোন ও এক ভাইয়ের লালারসের নমুনা দু-একদিনের মধ্যেই সংগ্রহ করতে চায় স্বাস্থ্য দফতর। এ দিকে, মঙ্গলবার রাতেই মানিকচক ব্লকের ভুতনির উত্তর চণ্ডীপুর পঞ্চায়েতের সাহেবরামটোলার দুই বাসিন্দার নমুনা পজ়িটিভ আসে। এক জনের বয়স ৪৮ বছর ও অন্য জনের ২৫। তাঁরা প্রতিবেশী। জানা গিয়েছে, দু’জনেই মহারাষ্ট্রের বান্দ্রাতে ইলেক্ট্রিক্যাল ওয়্যারিংয়ের কাজ করতেন। ১৫ তারিখ ট্রাকে করে জেলায় ফেরেন। মানিকচক হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এ দিন সকালে দু’জনকে মানিকচক মডেল ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। পুরো গ্রাম ব্যারিকেডে ঘিরেছে পুলিশ। জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘পুলিশ, প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর মোকাবিলার চেষ্টা করছে।’’ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘শারীরিক পরিস্থিতি অনুযায়ী কোভিড হাসপাতাল বা আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হচ্ছে।’’

এ দিকে, বুধবারও বাস-ট্রাকে অনেক পরিযায়ী শ্রমিক জেলায় ফিরেছেন। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ৩০২৪টি নমুনা ব্যাকলগ হয়ে আছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন