ছিনতাইয়ে পুরকর্মী গ্রেফতার

তৃণমূলের নির্বাচনী অফিসের সামনে টাঙানো ফেস্টুন, ব্যানার খুলে দেওয়া ও দলের এক কর্মীকে মেরে হার ছিনতাইয়ের অভিযোগে এক পুরকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হেমন্ত বসু কলোনি এলাকায়। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম নরেশ কামতি। তিনি শিলিগুড়ি পুরসভার ৪ নম্বর বরোর কর্মী। ধৃতের বাড়ির লোকজন দাবি করেছেন, তাঁকে ভিত্তিহীন অভিযোগে ধরা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৫ ০২:১৬
Share:

চুরির পরে। ছবিটি তুলেছেন দিব্যেন্দু দাস।

তৃণমূলের নির্বাচনী অফিসের সামনে টাঙানো ফেস্টুন, ব্যানার খুলে দেওয়া ও দলের এক কর্মীকে মেরে হার ছিনতাইয়ের অভিযোগে এক পুরকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হেমন্ত বসু কলোনি এলাকায়। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম নরেশ কামতি। তিনি শিলিগুড়ি পুরসভার ৪ নম্বর বরোর কর্মী। ধৃতের বাড়ির লোকজন দাবি করেছেন, তাঁকে ভিত্তিহীন অভিযোগে ধরা হয়েছে।

Advertisement

শিলিগুড়ির এসিপি ইস্ট পিনাকী মজুমদার, আইসি অচিন্ত্য গুপ্ত ঘটনাস্থলে যান। পুলিশ অফিসারদের দাবি, অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে। দল সূত্রের খবর, আজ, বুধবার বেলা ১১টায় ওই এলাকায় গিয়ে মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ মিছিল করার কথা তৃণমূল নেতা তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের।

তৃণমূলের ওই এলাকার প্রার্থী সোমা দাসের অভিযোগ, কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএমের মদতে হামলা হয়েছে। ধৃত নরেশ কংগ্রেস সমর্থক বলে দাবি তৃণমূলের। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, গোটা ঘটনা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। নরেশবাবুর পরিচিত কয়েকজন জানান, কংগ্রেস সমর্থক হলেও নরেশবাবু কোনও হামলা চালাননি। তাঁদের দাবি, ওই অফিসের সামনে কথা কাটাকাটি হওয়ার সময়ে আচমকা নরেশ হার ছিনিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়।যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রাক্তন কাউন্সিলর কংগ্রেসের স্বপন চন্দ। তিনি এবারও এলাকায় প্রার্থী হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘গ্রেফতার যুবক ছিনতাই করতে পারে না। সে পুরসভার সাফাই কর্মী। কংগ্রেসের সঙ্গে তার কোনও যোগাযোগ নেই। মিথ্যা অভিযোগ।’’ মিথ্যা অভিযোগের কথা বলছেন বিজেপির ওই ওয়ার্ডের প্রার্থী শ্যামল সরকারও। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল নিজেরাই নিজেদের বুথ অফিস ভেঙে নাটক করছে। ছিনতাইয়ের অভিযোগ মিথ্যে। এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন