শিশু বিক্রিতে আটক দম্পতি

মাস দুই আগে তাঁদের ফের একটি পুত্র সন্তান জন্মায়। কিন্তু কয়েক দিন পর থেকে সেই সন্তানও বাড়ি থেকে গায়েব হয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা বিষয়টি মানিকতলা থানায় জানান। তদন্তে নেমে ওই ঘটনায় শিশু বিক্রি চক্রের হদিস মেলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০১৭ ০২:২২
Share:

কলকাতার মানিকতলা থানা এলাকার শিশু বিক্রি কাণ্ডে রবিবার গাজোল থেকে এক দম্পতিকে আটক করল পুলিশ। রতন ব্যাপারী ও প্রতিমা ব্যাপারী নামে ওই দম্পতির বাড়ি গাজোলের ছয়ঘড়া এলাকায়। পাশাপাশি তাদের হেফাজত থেকে একটি শিশুও উদ্ধার করা হয়। মানিকতলা ও গাজোল থানার পুলিশ যৌথ ভাবে এই অভিযান চালায়।

Advertisement

মানিকতলা ও গাজোল থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, মানিকতলায় থাকতেন আর এক দম্পতি সঞ্জীব দাস ও ঝর্না দাস। আগেও তাঁদের দু’টি মেয়ে হয়েছিল। কিন্তু তাদেরও সম্ভবত কোথাও বিক্রি করা হয়েছে। মাস দুই আগে তাঁদের ফের একটি পুত্র সন্তান জন্মায়। কিন্তু কয়েক দিন পর থেকে সেই সন্তানও বাড়ি থেকে গায়েব হয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা বিষয়টি মানিকতলা থানায় জানান। তদন্তে নেমে ওই ঘটনায় শিশু বিক্রি চক্রের হদিস মেলে।

পুলিশ জানিয়েছে, সঞ্জীব দাস ও ঝর্নাদেবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সেই চক্রের হদিস মেলে। তাদের গ্রেফতার করা হয়। চক্রের পাণ্ডা সন্দেহে কলকাতা থেকে ডলি শেঠ ও তাঁর ছেলে দেবজিৎকেও পুলিশ গ্রেফতার করে। পুলিশ ধৃতদের জেরা করে জানতে পারে যে, ঝর্নাদেবীর শিশুটিকে তারা ৬০ হাজার টাকায় গাজোলের ওই দম্পতির কাছে ৭ দিন আগে বিক্রি করে।

Advertisement

ওই কারবারে কলকাতার কেষ্টপুরের আর এক যুবক রাজীব মণ্ডলের যোগ পায় পুলিশ। মানিকতলা থানা গাজোল পুলিশকে বিষয়টি জানায়। এ দিকে বিক্রি হওয়া শিশুটির হদিস পেতে শনিবারই মানিকতলা থানার পাঁচ সদস্যের একটি দল গাজোলে আসে। তাঁদের সঙ্গে ছিল ঝর্ণাদেবী ও দেবজিৎ। এ দিন দুই থানা যৌথ ভাবে হানা দেয় গাজোল ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সীমান্ত গ্রাম ছয়ঘড়ার রতনের বাড়িতে। সেখান থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। ওই বাড়িতে রাজীবকেও তাঁরা পান।

গাজোল থানার ওসি পূর্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শিশুটিকে উদ্ধারের পাশাপাশি রতন, তাঁর স্ত্রী প্রতিমা ও রাজীবকে আটক করা হয়েছে। মানিকতলা থানার পুলিশ তাঁদের সেখানে নিয়ে যাচ্ছে। মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘মানিকতলার পুলিশ সহযোগিতা চেয়েছিল এবং তা করা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন