Coronavirus

১২ ঘণ্টা সেফ হোমের চাতালে ‘পড়ে’ পজ়িটিভ

পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মানিকচকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালুটোলা গ্রামের ৩০ বছরের এক মহিলাকে জ্বর এবং রক্তস্বল্পতা নিয়ে ৫ জুলাই মিলকি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২০ ০৫:৫৭
Share:

প্রতীকী ছবি

করোনা আক্রান্ত এক মহিলাকে শনিবার রাতভর মালদহ মডেল মাদ্রাসার 'সেফ হোম'-এর সিঁড়ির চাতালে ফেলে রাখার অভিযোগ উঠল। শুধু তাই নয়, ওই দিনই ইংরেজবাজার শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের করোনা আক্রান্ত এক বাসিন্দাকে প্রায় ৬ ঘণ্টা কোভিড হাসপাতালের বাইরে বসিয়ে রাখারও অভিযোগ উঠেছে। শেষ পর্যন্ত তাঁকে পাঠানো হয় মালদহ মডেল মাদ্রাসার সেফ হোমে।

Advertisement

পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মানিকচকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালুটোলা গ্রামের ৩০ বছরের এক মহিলাকে জ্বর এবং রক্তস্বল্পতা নিয়ে ৫ জুলাই মিলকি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ৮ জুলাই তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ইতিমধ্যে তাঁর শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। বৃহস্পতিবার তাঁকে হাসপাতালের সারি ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়। লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার পরে শুক্রবার রাতে রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। পরিবারের অভিযোগ, ওই মহিলাকে শনিবার রাত সাড়ে ন'টা নাগাদ জেলা কোভিড হাসপাতালে না পাঠিয়ে পাঠানো হয় ইংরেজবাজার শহর সংলগ্ন বাগবাড়ির ইংলিশ মিডিয়াম মডেল মাদ্রাসার সেফ হোমে।

পরিজনদের দাবি, সেখানে আক্রান্তদের থাকার জায়গা ভবনের তিন তলায়। কিন্তু ওই মহিলা এতটাই অসুস্থ ছিলেন যে তাঁর পক্ষে তিন তলায় ওঠআ আর সম্ভব হয়নি। অভিযোগ, তার জেরে রাতভর ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় তিনি ভবনের সিঁড়ির চাতালে মূল ফটকের গেটের পাশে পড়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত রবিবার দুপুরে ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে তাঁকে জেলা কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

Advertisement

ওই রোগীর এক দাদা বলেন, ‘‘শনিবার রাত সাড়ে ন'টা থেকে এদিন সকাল দশটা পর্যন্ত, ১২ ঘণ্টার বেশি সময় প্রশাসনের গাফিলতিতে আমার বোন মডেল মাদ্রাসার সিড়ির সামনের চাতালে পড়ে থাকল।’’

এ দিকে ইংরেজবাজার শহরের গোধরাইলপল্লি এলাকার করোনা আক্রান্ত ৩৫ বছরের এক যুবকের পরিবারের অভিযোগ, পজ়িটিভ রিপোর্ট আসার পরে তাঁকে শনিবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে রেফার করা হয় জেলা কোভিড হাসপাতলে। কিন্তু সেখানে হাসপাতালের বাইরে কখনও অ্যাম্বুল্যান্সে, কখনও চেয়ারে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বসে থাকতে হয় রোগীকে। তার পরেও তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়নি। মডেল মাদ্রাসার সেফ হোমে পাঠানো হয়।

ওই যুবকের পরিবারের এক সদস্য বলেন, ‘‘আক্রান্তের জ্বর, কাশি, সর্দি, শ্বাসকষ্ট রয়েছে। কিন্তু তবুও কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হল না।’’

এ নিয়ে জেলার ভারপ্রাপ্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তুহিন মাজি বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হবে।’’

এসএউসি-র জেলা সম্পাদক গৌতম সরকারের অভিযোগ, জেলা কোভিড হাসপাতালের শয্যা খালি থাকা সত্ত্বেও নানা টালবাহানা করে করোনা আক্রান্তদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন