প্রচারে: রায়গঞ্জে অশোক ভট্টাচার্য। —নিজস্ব চিত্র।
দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারে এসে রায়গঞ্জের মহকুমাশাসক তথা রায়গঞ্জ পুরসভা নির্বাচনী আধিকারিকের বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুললেন শিলিগুড়ির মেয়র তথা সিপিএম বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য। মহকুমাশাসকের অপসারণেরও দাবি তুললেন তিনি। মহকুমাশাসক পুরসভার প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন। যুগ্ম প্রশাসকের দায়িত্বে রয়েছেন উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা ইটাহারের বিধায়ক অমল আচার্য। অশোকবাবুর দাবি, যেহেতু মহকুমাশাসক নিজেই পুরসভার নির্বাচনী আধিকারিক, তাই নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর তিনি পুরসভার প্রশাসকের পদে থাকতে পারেন না। প্রশাসকের পদাধিকার বলে তিনি যুগ্ম প্রশাসক তৃণমূল নেতা অমলবাবুকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পুরসভার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজকর্মের নামে নির্বাচনের মুখে তৃণমূলকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছেন মহকুমাশাসক। মহকুমাশাসক থেণ্ডুপ নামগিয়েল শেরপার দাবি, নির্বাচন কমিশনের আইন মেনেই তিনি কাজ করছেন। প্রশাসনিক ও নির্বাচন সংক্রান্ত কে কোন পদে থাকবেন, তা রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশন ঠিক করেন। তিনি বলেন, ‘‘তাই অশোকবাবু কী বলছেন, তা নিয়ে আমার কোনও বক্তব্য নেই।’’ অশোকবাবু বলেন, ‘‘তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সমস্ত ওয়ার্ডে হুমকি ও ভয় দেখাতে শুরু করেছে। আমি রাজ্য পুলিশের ডিজি ও উত্তরবঙ্গের আইজির সঙ্গে কথা বলব।’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি অমলবাবুর দাবি, সিপিএম দলের নেতারা বাইরে থেকে এসে বাসিন্দাদের ভুল বুঝিয়ে বিভ্রান্ত করতে পারবেন না।