Crime Against Women

স্কুলের ভিতরে ‘গণধর্ষণ’ ছাত্রীকে

স্কুল চলাকালীন ছাত্রীকে ‘গণধর্ষণ’ করার অভিযোগ ওঠায়, সেখানে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ঘটনায় উদ্বিগ্ন অভিভাবকেরাও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৩ ০৮:৫২
Share:

মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন। প্রতীকী চিত্র।

স্কুলের মধ্যেই ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ‘গণধর্ষণ’ করার অভিযোগ উঠল। শনিবার, মালদহের একটি স্কুলে ঘটনাটি ঘটেছে। স্কুলে শিক্ষক মাত্র এক জন। তিনি অসুস্থ থাকায় সে দিন স্কুলে যাননি। অভিযোগ, সে সুযোগে স্কুলের সময়ে, স্কুলেরই দোতলায় ওই ছাত্রীটিকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বহিরাগত তিন জন। রবিবার রাতে থানায় অভিযোগ করে ‘নির্যাতিতার’ পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের পুলিশ সোমবার গ্রেফতার করে। এ দিন ধৃতদের মালদহ জেলা আদালতে পেশ করে পুলিশ। বিচারক তিন অভিযুক্তকে চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

Advertisement

মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ‘‘মেয়েটির ডাক্তারি-পরীক্ষা করানো হয়েছে। সে এখন সুস্থ। মেয়েটির বান্ধবীরও জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

স্কুল চলাকালীন ছাত্রীকে ‘গণধর্ষণ’ করার অভিযোগ ওঠায়, সেখানে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ঘটনায় উদ্বিগ্ন অভিভাবকেরাও। স্থানীয়দের দাবি, জুনিয়র হাই স্কুলটিতে কোনও সীমানা প্রাচীর নেই। স্কুলে ৩৯ জন ছাত্রছাত্রী থাকলেও, এক জন মাত্র শিক্ষক। শিক্ষকের দাবি, অসুস্থতার কারণে দু’দিন স্কুলে যেতে পারেনি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছেন তিনি। ঘটনাটি নিয়ে খোঁজ নিচ্ছে জেলা প্রশাসনও।

Advertisement

পরিবারের দাবি, শনিবার দুপুরে স্কুল মাঠে খেলা করছিল ষষ্ঠ শ্রেণির দুই ছাত্রী। এর মধ্যে, নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিচিত এক জন প্রলোভন দেখিয়ে তাকে স্কুলের দোতলায় নিয়ে যায়। অভিযোগ, অভিযুক্ত ওই পরিচিত ও তার দুই বন্ধু মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এক জন মোবাইলে ভিডিয়ো তোলে বলে অভিযোগ। অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরে, মেয়েটি পরিবারের কাউকে প্রথমে কিছু জানায়নি। তবে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে, পরিবারের সদস্যেরা সব জানতে পারেন। এর পরেই, মেয়েটিকে স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। পরে, থানায় অভিযোগ করে পরিবার।

নির্যাততার মা বলেন, ‘‘মেয়েকে ভয় দেখানো হয়েছিল। তাই মেয়ে প্রথমে চুপ করে ছিল। আমরা জোর দিতেই সব বলে দেয়। ঘটনাটি জানতে পেরেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি। আমরা চাই, পুলিশ অভিযুক্তদের শাস্তি দিক।’’ পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত তিন জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এক অভিযুক্ত বিবাহিত বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন