Gorkhaland Issue

পঞ্চায়েত ভোট মিটতেই পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে সরব বিজেপি বিধায়ক, বিতর্ক

নীরজের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে জিটিএ-তে ক্ষমতাসীন অনীতের দল এবং রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৩ ২৩:০৪
Share:

নিজস্ব চিত্র।

পাহাড়ে পঞ্চায়েত ভোটে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। ‘মহাজোট’ করেও অনীত থাপার দল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার দলকে হারাতে ব্যর্থ তারা। এর প্রক্ষিতে লোকসভা নির্বাচনের আগে আবার পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যান্ডের জিগির তুললেন বিজেপি বিধায়ক নীরজ জিম্বা। তাঁর দাবি, ‘‘বাংলা থেকে পাহাড়কে আলাদা করতেই হবে। গোর্খাল্যান্ড হলে ভাল। নইলে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হলেও আমাদের আপত্তি নেই।’’

Advertisement

দার্জিলিঙের বিধায়ক নীরজের ‘বাংলাভাগ’-এর দাবি নিয়ে অবশ্য বিজেপির অন্দরেই বিরোধ রয়েছে। ‘অনীহা’ প্রকাশ করে শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘কেন উনি এমন বললেন, তা আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। দলের এ ব্যাপারে একটা অবস্থান রয়েছে। তা সকলকেই মেনে চলতে হবে।’’ নীরজের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে জিটিএ-তে ক্ষমতাসীন অনীতের দল এবং রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল।

ভোট এলেই বিজেপি পাহাড়ে পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব হয় বলে বরাবরের অভিযোগ বিরোধীদের। তাদের বক্তব্য, পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ডের দাবি হাতিয়ার করেই পাহাড়ে ভোট-বৈতরণী পার করতে চায় গেরুয়া শিবির। অতীতে রাজ্যভাগের দাবি তুলেছিলেন কার্শিয়াঙের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। তাঁর ওই দাবি নিয়ে বিতর্কও হয়েছিল। পরে দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বিধায়কের মন্তব্য তাঁর ব্যক্তিগত। দলের এ রকম কোনও অবস্থান নেই। এ বার বিষ্ণুপ্রসাদের সুরেই বুধবার নীরজ বললেন, ‘‘পাহাড় সমস্যার স্থায়ী সমাধান হল আলাদা রাজ্য। তা যে ভাবেই হোক না কেন! তবে এ বার এই রাজ্য কিংবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হতে চলেছে। ইতিমধ্যে দিল্লি থেকে একটি দল এসে পরিদর্শন করে গিয়েছে।’’ এর প্রেক্ষিতে শঙ্কর বলেন, ‘‘আমরা বলেছি উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত, শোষিত। কিন্তু উনি কেন এমন মন্তব্য করলেন, তা অজানা। দলের নিয়মকানুন মেনেই সকলকে চলতে হবে।’’

Advertisement

এ নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করে অনীতের দলের মুখপাত্র শক্তিপ্রসাদ শর্মা বলেন, ‘‘ওদের এখন আর কোনও কাজ নেই। পাহাড়ে ওরা পরাজিত, তাই এ সব বলে প্রচারের আলোয় আসতে চাইছে। সেই দলের সাংসদ ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের নামে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেন। তারা আবার গোর্খাল্যান্ড দেবে কী করে!’’ অন্য দিকে, পাহাড়ের তৃণমূল সভানেত্রী শান্তা ছেত্রী বলেন, ‘‘পাহাড়ে শান্তি রয়েছে। মানুষ আনন্দে আছে। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচুর কাজ করেছেন। তাই এখন পৃথক রাজ্যের দাবি করে লাভ নেই। আসলে নীরজ জিম্বা পাহাড়ে কোনও কাজ করেনি, তাই এ সব করে নিজের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে চাইছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন