রাতে: বাড়ল পর্যটকদের ভিড়, খুলল দোকান। ম্যাল ফিরল অনেকটাই চেনা মেজাজে। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।
পাহাড়ের পাকদণ্ডি ধরে এদিক-ওদিক ঘুরে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখব ভেবেছিলাম। সকাল থেকে ঘুরছি বটে, তবে পাহাড়ি পথে নয়। স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড আর গাড়ি স্ট্যান্ডে। মনে হচ্ছে যেন অ্যাডভেঞ্চার করতে এসেছি।
তাও একা বা সঙ্গে অল্পবয়সী লোকজন হলে কথা আরেকরকম। বৃদ্ধ শ্বশুর, শাশুড়ি স্ত্রী ও মেয়ে। সকালে ট্রেন থেকেই নেমেই মাথায় বাজ ভেঙে পড়ল। শুনলাম পাহাড়ে না কি হঠাৎ বনধ। সামনে স্ট্যান্ডে গাড়ির খোঁজ করতে চালকেরা কেউ বললেন, গ্যাংটক ৮ হাজার টাকা লাগবে। কেউ দার্জিলিং ৫ হাজার। এক বন্ধুর কাছে শুনেছিলাম, ২/৩ হাজারের মধ্যে হয়ে যায়। সাত সকালে তখনও পুলিশ বা কোনও সরকারি অফিসারের দেখা পাইনি। একজন সহযাত্রীর পরামর্শে এনজেপি থেকে অটো ধরে জংশনে চলে আসি। দার্জিলিং ছেড়ে গ্যাংটকের বাসের খোঁজ করি। সিকিম পরিবহণ নিগমের চত্বরের মূল গেটে দেখি তালা। কয়েকজন পর্যটন, নিত্যযাত্রীরা দাঁড়িয়ে। কোনও অফিসার নেই। পাশের তেনজিং নোরগে বাস স্ট্যান্ডে তো দেখলাম সিনেমা হলের মত ভিড়। পাহাড়ের বাস পরে ছাড়বে। ভিড়ের মধ্যে একজন বললেন, পাশেই ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল টুরিজম’ অফিস। মন্ত্রীও নাকি এখন সেখানে। বাইরে বড় সাদা গাড়ি দাঁড়িয়ে। আর দু’বার ভাবিনি। বাকিদের রাস্তার ধারে ছায়ায় বসিয়ে, সোজা অফিসে ঢুকে পড়লাম।
অফিসারদের অসহায়তার কথা জানাই। মন্ত্রী একবার তাকতেই সাহায্য চেয়ে বসি।
মন্ত্রীকে বলি, গাড়ি ভাড়াটা দেখুন। শেয়ার ট্যাক্সি বলছে, ৮০০ টাকা করে একজনের লাগবে। তাও আরও লোকজনে সঙ্গে ‘অ্যাডজাস্ট’ করতে হবে। মালপত্রও কিছু পায়ের নিচে, কোলে নিতে হবে। অফিসারেরাও এগিয়ে আসেন। ভাড়ার গাড়ি ঠিক করে দেন।