পুরস্কারের চেক নিয়ে জয়ী কলকাতার দল। — নিজস্ব চিত্র।
সুকনা গোল্ড কাপে চ্যাম্পিয়ন হল কলকাতার স্টিল অথরিটি অব ইন্ডিয়া লিমিটেড (সেল)। সোমবার সুকনা হাইস্কুলের মাঠে ফাইনালে তারা টাইব্রেকারে হারাল দার্জিলিঙের ইউনাইটেড এফসি-কে।
শুরু থেকেই লড়াই জমে ওঠে এ দিন ফাইনালে। খেলার আট মিনিটের মাথায় সেলের উইং হাফ সরজিৎ বিশ্বাস বল পেয়ে দার্জিলিং ইউনাইটেডের দুই ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে পেনাল্টি বক্সে ঢুকে পড়েন। তার শট দার্জিলিং ইউনাইটেডের গোলরক্ষক ঠেকালেও গোলের সামনে বল চলে যায় সেলের স্ট্রাইকার ইসরাফিল দেওয়ানের পায়ে। তবে সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারেনি ইসরাফিল। সেখান থেকে শট নিলে গোলের অনেক ওপর দিয়ে তা বেরিয়ে যায়।
পাল্টা সুযোগ তৈরি করে দার্জিলিং ইউনাইটেড এফসির গণেশ লিম্বু, ভাইচুং রাইরা। সেলের বদলি ফুটবলার রূপচাঁদ মাঝি খেলার ৪২ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন। প্রথমার্ধে গোল করতে পারেনি কেউ। দ্বিতীয়ার্ধে প্রথম গোলের পর ৬২ মিনিটের মাথায় হলুদ কার্ড দেখতে হয়েছে দার্জিলিং ইউনাইটেডের দিবস তামাঙ্গকে, ৬৫ মিনিটের মাথায় হলুদ কার্ড দেখেন সেলের সাহেব বাউরি।
দ্বিতীয়ার্ধে ৫৪ মিনিটের মাথায় খেলার প্রথম গোলটি করেন দার্জিলিং ইউনাইটেড এফসির সিদ্ধান্ত ছেত্রী। তাতে চাপে পড়ে যায় সেল। মাঠের সীমানার কাছে এসে তাদের ফুটবলারদের উদ্দেশে বারবার চিৎকার করে নির্দেশ দিতে দেখা গিয়েছে কোচকে। গোল খেয়ে সমতা ফেরাতে মরিয়া হয়ে ওঠে সেল। শেষ পর্যন্ত খেলার ৬৪ মিনিটের মাথায় সেলের মিড হাফ অভিজিৎ প্রধান গোল করে সমতা ফেরান। নির্ধারিত সময়ে খেলা ১-১ গোলে অমীমাংসিত থাকে। টাইব্রেকারে সেল হারায় দার্জিলিঙের ইউনাইটেড এফসি-কে।
১২টি দলকে নিয়ে এ বছর সুকনা গোল্ড কাপের খেলা হয়েছে। উদ্যোক্তা সুকনা গেমস অ্যান্ড স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন। ফাইনাল খেলা দেখতে এ দিন মাঠে বেশ ভিড়ও হয়েছিল। বাঁশ, কাঠ দিয়ে মাঠের একদিকে বানানো হয়েছিল ছোট গ্যালারি। টিন দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছিল মাঠ। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন রয়্যাল ফুটবল ক্লাবের করন রাই। সেরা স্ট্রাইকার দার্জিলিঙের ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাবের গণেশ লিম্বু। সেরা গোলরক্ষক দার্জিলিং ইউনাইটেডের ধীরাজ বিকে।