তৃণমূল কর্মী উজ্জ্বল দাস। —নিজস্ব চিত্র
তৃণমূলের প্রার্থী সৌমিত্র রায়ের ঘনিষ্ঠ নেতা উজ্জ্বল দাসের (৬০) মৃত্যু হল। শুক্রবার রাত থেকে মালদহের একটি নার্সিংহোমে ভেন্টিলেশনে ছিলেন তিনি। জেলা তৃণমূল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘‘আমরা শোকাহত। রাজ্য নেতৃত্ব সব জানেন। যারা ঘটনায় অভিযুক্ত তাদের বিরুদ্ধে যথাসময়ে দল ব্যবস্থা নেবে।’’ শুক্রবার সন্ধ্যায় সিঙ্গুর উত্সব পালনের মঞ্চে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। উত্সব পালনে উদ্যোগী ছিলেন সৌমিত্রবাবু। সেখানে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে সৌমিত্রবাবু ও তজমুল হোসেন গোষ্ঠীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে বাঁধে। সংঘর্ষে গুরুতর জখম হন উজ্জ্বলবাবু। উজ্জ্বলবাবুকে রাস্তায় ফেলে লাঠি, লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তজমুলের ভাই সামিউদ্দিন রহমান ওরফে জম্বুবাবুর পাশাপাশি দুই যুব নেতা বারেকুল ইসলাম ওরফে বুলবুল ও মকরম আলি ওরফে স্বপন মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে। শনিবার জম্বুবাবুকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এ দিন পুলিশ মহম্মদ রুহুল ও নরেশ অগ্রবাল নামে আরও দুই তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে। জম্বুবাবুর তিন দিনের জেলহাজত হয়েছে। জম্বুবাবুর দাবি, ‘‘মারধর করিনি। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।’’