উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়

পরিদর্শনে নানা প্রশ্ন ন্যাকের প্রতিনিধি দলের

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানের বিভাগগুলি গবেষণামূলক কাজে যতটা এগিয়ে, কলা-বাণিজ্য বিভাগ ততটা নয় বলে মনে করছে ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল (ন্যাক)-এর প্রতিনিধিরা। মঙ্গলবার ছিল ন্যাকের প্রতিনিধিদের পরিদশর্নের দ্বিতীয় দিন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৬ ০১:০৬
Share:

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানের বিভাগগুলি গবেষণামূলক কাজে যতটা এগিয়ে, কলা-বাণিজ্য বিভাগ ততটা নয় বলে মনে করছে ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল (ন্যাক)-এর প্রতিনিধিরা। মঙ্গলবার ছিল ন্যাকের প্রতিনিধিদের পরিদশর্নের দ্বিতীয় দিন।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, ন্যাকের প্রতিনিধিরা কলা বিভাগের গবেষণামূলক কাজকর্ম পিছিয়ে থাকার প্রশ্ন তুলে তার কারণ জানতে চান। কর্তৃপক্ষের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে বিজ্ঞান বিভাগগুলিতে গবেষণামূলক কাজের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনুদান বা সাহায্য মেলে। কলা বিভাগের কাজের জন্য তেমন সহায়ক সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার সমস্যা রয়েছে। কলা-বাণিজ্য-আইন বিভাগের উল্লেখযোগ্য কাজের বিষয়গুলি তাঁরা জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের ডিনের তরফে তা যথাযথ ভাবে তুলে ধরার ক্ষেত্রে খামতি ছিল বলে অভিযোগ। এই নিয়ে ন্যাকের সদস্যরা কিছুটা অসন্তোষ প্রকাশ করেন বলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে।

কলা-বাণিজ্য-আইন বিভাগের ডিন ঘনশ্যাম নেপাল অবশ্য বলেন, ‘‘যে টুকু জানানোর পরিদশর্ক দলকে তা জানানো হয়েছে। এর বাইরে কিছু বলতে চাই না।’’ শিক্ষকদের কয়েকজন জানিয়েছেন, কলা-বাণিজ্য-আইন বিভাগের ডিন পরিষ্কার করে বিভিন্ন বিভাগের উল্লেখযোগ্য গবেষণা মূলক কাজ তুলে ধরতে না পারায় পরে বিভাগীয় প্রধান বা সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষকদের একাংশ, ন্যাকের প্রতিনিধিদের কাছে বিষয়গুলি তুলে ধরতে সচেষ্ট হন। দায়িত্বে থাকা রেজিস্ট্রার অনির্বাণ মিশ্র বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আমার কোনও কথা হয়নি। বুধবারই তাঁরা বিস্তারিত রিপোর্ট জানাবেন।’’

Advertisement

এ দিন ন্যাকের ছয় সদস্যের দলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হস্টেলগুলিতে গিয়ে অভাব অভিযোগ শুনেছেন। খাবারের মান নিয়ে, হস্টেলে পর্যাপ্ত থাকার জায়গার অভাব রয়েছে বলে অনেকে অভিযোগ করেন। তা ছাড়া কলা বিভাগে পরীক্ষার খাতা যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয় না বলেও ছাত্রীদের একাংশের অভিযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মীদের একাংশ জানিয়েছেন, তফসিলি জাতি, উপজাতির ছাত্রছাত্রীদের সহায়তার জন্য যে কেন্দ্র বা সেলগুলি রয়েছে সেগুলির কাজকর্ম নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। প্রতিনিধিরা সে সব খোঁজ নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে প্রতিবন্ধীদের সুবিধার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেই। যেমন বিভাগগুলির সব ক্ষেত্রে হুইল চেয়ারে প্রতিবন্ধীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়নি। তবে হস্টেলে খাবারের বিষয়টি পড়ুয়ারা নিজেরাই দেখে। সে ক্ষেত্রে তাদের এ ধরণের অভিযোগের কারণ নিয়ে কর্তৃপক্ষ খোঁজখবর নেবে বলে জানিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও এ দিন খোঁজ খবর নিয়েছেন ন্যাকের প্রতিনিধিরা। এ দিন দুপুরে জলপাইগুড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস পরিদর্শনে যান তাঁরা। সেখানে শিক্ষক, শিক্ষিকাদের থাকার ব্যবস্থা নেই। যে সমস্ত বিভাগগুলি খোলা হয়েছে, শিলিগুড়ির মূল ক‌্যাম্পাস থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা সেখানে গিয়ে পড়াশোনা করান। তাতে কিছুটা সমস্যা রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন