Dengue

গ্রামে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা

আলিপুরদুয়ার জেলায় ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই আশি পেরিয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি বন্যা পরিস্থিতির পরে, জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২৩ ০৭:২০
Share:

—প্রতীকী ছবি।

ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলছে আলিপুরদুয়ারে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, গত বছরের মতো এ বারও জেলার গ্রামাঞ্চলেই বেশি করে ছড়াচ্ছে মশাবাহিত এই রোগ। অথচ, গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে বোর্ড গঠন না হওয়ায় জেলার গ্রামীণ এলাকার অনেক জায়গাতেই ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজ সে অর্থে হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় গ্রামীণ এলাকায় ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজে গতি বাড়াতে কাল, সোমবার আলিপুরদুয়ারে বসতে চলেছে জেলা টাস্ক ফোর্সের বৈঠক। ডেঙ্গি নিয়ে সতর্ক কোচবিহার জেলার স্বাস্থ্য কর্তারাও।

Advertisement

চলতি বছর আলিপুরদুয়ার জেলায় ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই আশি পেরিয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি বন্যা পরিস্থিতির পরে, জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। এ বছরও সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাকি সব জায়গাকে টেক্কা দিয়ে এগিয়ে মাদারিহাট ব্লক। তার পরেই ফালাকাটা ও কালচিনি। অথচ, স্রেফ পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন না হওয়ার কারণে তিন ব্লকের অনেক জায়গায় ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজ ঠিক ভাবে হচ্ছে না বলে অভিযোগ।

তবে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এই সমস্যা সমাধানে সূত্র খুঁজে বার করতে সোমবার ডেঙ্গি মোকাবিলায় গঠিত জেলা টাস্ক ফোর্সের বৈঠক বসবে। সেখানেই এর সিদ্ধান্ত হবে। আলিপুরদুয়ারের এক স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, ‘‘জেলার গ্রামঞ্চলে ডেঙ্গির প্রকোপ যে বাড়ছে, তা ঠিক। কিন্তু তা বলে কোথাও ডেঙ্গি প্রতিরোধে কাজ হচ্ছে না, বলা ঠিক হবে না।’’ স্বাস্থ্য দফতরের ওই কর্তার কথায়, ‘‘গ্রাম পঞ্চায়েত বোর্ড না থাকা সত্ত্বেও, কিছু জায়গায় ডেঙ্গি প্রতিরোধে ভাল কাজ হচ্ছে। আবার কোথাও বোর্ড না থাকায় সেই কাজ ব্যাহত হচ্ছে। আর তাই জেলার সর্বত্র যাতে ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজ ঠিক মতো হয়, সেজন্যই টাস্ক ফোর্সের বৈঠক ডেকেছে প্রশাসন।’’

Advertisement

চলতি বছরে কোচবিহার জেলায় এখন পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯ জন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এ বার জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ের ২৯ তারিখ পর্যন্ত ওই আক্রান্তেরা সকলেই চিকিৎসার পরে, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে এক জনের মৃত্যুও হয়নি। তার পরেও আত্মতুষ্টির অবকাশ রাখা হচ্ছে না। নতুন করে যাতে আক্রান্তের সংখ্যা না বাড়ে, সে দিকে সতর্কতামূলক সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে রক্ত পরীক্ষায়। ইতিমধ্যে ব্লক, মহকুমা স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে জেলা স্বাস্থ্যকর্তারা সন্দেহজনক রোগীর রক্ত পরীক্ষার বার্তা দিয়েছেন। কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকান্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘ডেঙ্গি বিষয়ে সমস্ত সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন