প্রতীকী ছবি।
একে ঘন কুয়াশা। তার উপর সিগন্যালের বিভ্রাট। এই জোড়া ধাক্কায় প্রায় পাঁচ ঘণ্টা দেরিতে এসে পৌঁছেছে তেভাগা এক্সপ্রেস। ফের ট্রেন চালানোর আগে পর্যাপ্ত বিশ্রামের প্রয়োজনে চালককে ঘুমোতেও হয়েছে। সব মিলিয়ে ভোর পাঁচটার তেভাগা এক্সপ্রেস ছাড়লো সকাল ৯টায়। সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট স্টেশনের এই ঘটনায় চরম ভোগান্তিতে পড়লেন যাত্রীরা।
এ দিন কাকভোরে কনকনে শীতের মধ্যে স্টেশনে পৌঁছে কামরায় উঠে পড়েন যাত্রীরা। কিন্তু ট্রেন আর ছাড়ে না। নির্ধারিত সময়ে ট্রেন না ছাড়ায় ক্ষোভ ছড়ায় যাত্রীদের মধ্যে। খোঁজ নিয়ে তাঁরা জানতে পারেন ওই ট্রেনের চালক ঘুমোচ্ছেন। ৬ ঘণ্টা ঘুম না হলে তাঁকে ডাকা যাবে না বলে জানান স্টেশন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কেন এমন ঘটনা?
বালুরঘাট স্টেশন থেকে রোজ ভোর ৫টায় তেভাগা এক্সপ্রেস কলকাতার চিতপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। একইভাবে চিতপুর থেকে সকাল ১১টায় ছাড়ে ট্রেনটি। বালুরঘাটে এসে পৌঁছয় ওইদিন রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ। রবিবার সিগন্যালিংয়ের সমস্যা ও কুয়াশার জেরে রাত সাড়ে ১০টার বদলে তেভাগা বালুরঘাট স্টেশনে পৌঁছয় ভোর সাড়ে ৩টায়।
তেভাগা এক্সপ্রেস একজন চালক নির্ভর। ফলে ভোর সাড়ে তিনটেয় পৌঁছে মাত্র দু’ঘণ্টা বিশ্রাম নিয়ে ফের চিতপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে চাননি চালক। বালুরঘাট স্টেশন ম্যানেজার ইনচার্জ চন্দন মণ্ডল জানান, চালক জানিয়ে দেন যে তাঁর অন্তত ছয় ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। সকাল ন’টা নাগাদ চালক ঘুম থেকে উঠলে বালুরঘাট স্টেশন ছাড়ে তেভাগা।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। অভিযোগ, কিছুদিন আগেও একইভাবে নির্ধারিত সময় রাত সাড়ে ১০টার বদলে দেরি করে পৌঁছয়। তখনও চালকের ঘুমের প্রয়োজন বলে যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হন। যাত্রীদের একটি অংশের অভিযোগ, অতিরিক্ত চালক থাকলে এমন ভোগান্তিতে পড়তে হয় না। কেন রেল কর্তৃপক্ষ সিগন্যালিং ব্যবস্থা উন্নতি এবং অতিরিক্ত চালকের ব্যবস্থা করছে না সেই প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা।