প্রায় দেড় মাসের বেশি সময় ধরে কোচবিহার জেলা পরিষদের অতিরিক্ত নির্বাহী আধিকারিক (এইও) না থাকায় উন্নয়নমূলক কাজ মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, প্রায় ৫ কোটি টাকার কাজের দরপত্র নেওয়া হলে কাজের নির্দেশ দেওয়া হয়নি। ওই কাজগুলিতে কাজের আদেশের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত নির্বাহী আধিকারিকের প্রয়োজন রয়েছে। এই অবস্থায় ফাঁপড়ে পড়েছেন জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ। কোচবিহার জেলা পরিষদের সভাধিপতি পুষ্পিতা ডাকুয়া বলেন, তেমন কোনও সমস্যা নেই। বেশ কয়েকজন কর্মাধ্যক্ষ সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন।
সমস্যার সমাধানের ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ার কথা জানিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি বলেন, “ওই ওদের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের স্ত্রী অসুস্থ। সে কারণেই তিনি ছুটিতে রয়েছেন। এই অবস্থায় ওই পদে অন্য কাউকে বসানোর ক্ষেত্রে আলোচনা শুরু হয়েছে। দ্রুত তা করা হবে।” কোচবিহারের জেলাশাসক কৌশিক সাহাকে ফোন পাওয়া যায়নি। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক অবশ্য বলেন, “প্রশাসনের তরফে ভাবনা চিন্তা শুরু করা হয়েছে।”
জেলা পরিষদ সূত্রের খবর, গত ২৮ এপ্রিল কোচবিহার জেলা পরিষদের দায়িত্বে থাকা তানভির আফজল ছুটিতে যান। সেই সময় থেকেই সমস্যা শুরু হয়। ওই আধিকারিকের সঙ্গে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
জেলা পরিষদের শাসক দলের সদস্যদের অনেকেই অভিযোগ করেন, দিনহাটা-২ নম্বর ব্লকের একটি রাস্তার কাজে, তুফানগঞ্জে একটি পাঁচ কিলোমিটার রাস্তার কাজ, কোচবিহার-১ নম্বর ব্লকের চাকির মোড়ে একটি অনাথ আশ্রমের সংস্কার, মাথাভাঙায় জোরপাটকিতে একটি পাকা রাস্তার দুই পাশে মাটি দেওয়ার কাজ আটকে রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৮৩ টি কাজ আটকে রয়েছে বলে দাবি। বিভিন্ন স্থায়ী সমিতিতে কাজের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তা করা যাচ্ছে না। জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ শুচিস্মিতা দেবশর্মা বলেন, “অতিরিক্ত কার্যনির্বাহী আধিকারিক না থাকায় সমস্যা হচ্ছে। বেশ কিছু আটকে আছে।’’