মুছে যেতে পারে ধরধরা নদী, আশঙ্কা

একসময়ে উপচে পড়ত জল। লোকে বলত নদী। এখন সরু সুতোর মতো হয় দাঁড়িয়েছে। জল কিছু দূর গড়িয়ে থমকে যায়। সমীক্ষায় আশঙ্কা করা হয়েছে, কয়েক দিন পরে জলপাইগুড়ির মানচিত্র থেকে মুছে যাবে ধরধরা নদী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:৩৬
Share:

সমস্যা: শুকিয়ে যাচ্ছে ধরধরা নদী। নিজস্ব চিত্র

একসময়ে উপচে পড়ত জল। লোকে বলত নদী। এখন সরু সুতোর মতো হয় দাঁড়িয়েছে। জল কিছু দূর গড়িয়ে থমকে যায়। সমীক্ষায় আশঙ্কা করা হয়েছে, কয়েক দিন পরে জলপাইগুড়ির মানচিত্র থেকে মুছে যাবে ধরধরা নদী। সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, দূষণের ফলে কী ভাবে একটি ছোট নদী হারিয়ে যেতে পারে তার প্রমাণ ওই নদী।

Advertisement

শহরের সমাজপাড়া এলাকায় সেতুর উপরে দাঁড়িয়ে দেখা যায় করলা নদী। একপাশে সরু হয়ে নদী চলে গিয়েছে সদর হাসপাতালের পিছন দিকে। যেটা দেখে কচুরিপানায় ঢাকা পথ বলে ভুল হতে পারে। শহর লাগোয়া কালিয়াগঞ্জের একটি জলাভূমিই ধরধরার উৎস। ছোট নদী বলা হলেও, এটি আদতে খাল বলে দাবি বঙ্গীয় ভূগোল মঞ্চের। মঞ্চের তরফেই এই নদীকে নিয়ে সমীক্ষা চালানো হয়েছে। কালিয়াগঞ্জ থেকে শহরে ঢুকে এই নদী রাযকতপাড়া, সেনপাড়া, হাসপাতাল পাড়া হয়ে সমাজপাড়া এলাকায় করলা নদীর সঙ্গে মিশেছে। জল না থাকায় মিলনস্থল প্রায় খটখটে কচুরিপানায় ঢাকা।

সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, জলপাইগুড়ি শহরে ঢোকার পরে নদীটি জলশূন্য হয় পড়েছে। কালিয়াগঞ্জ থেকে পাহাড়পুর পর্যন্ত নদীতে জল রয়েছে। সে জল সেচের কাজেও ব্যবহার করা হয়। রায়কত পাড়ার কয়েকটি এলাকায় জল দেখা যায়, তারপর থেকে নদী খটখটে বলে দাবি। বঙ্গীয় ভূগোল মঞ্চের সদস্য তথা শিক্ষক দীপক সরকার বলেন, ‘‘নদীতে আবর্জনা ফেলা হয়। জলের প্রবাহ আটকে গিয়ে নদী শুকিয়ে গিয়েছে। এখনই সকলে সচেতন না হলে নদীকে বাঁচানো যাবে না।’’ পরিবেশবিদ তথা ভূগোল বিশেষজ্ঞ জাতিশ্বর ভারতীর অভিমত, দ্রুত নদীর সংস্কার প্রয়োজন।

Advertisement

পুরসভার দাবি, শহরের নিকাশি ক্ষেত্রে এই নদীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেনপাড়া, রায়কত পাড়ার বিস্তীর্ণ এলাকার জল ধরধরা দিয়ে বয়ে করলায় পড়ে।

জলপাইগুড়ি পুরসভা চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য সন্দীপ মাহাতো বলেন, ‘‘পুরসভার পক্ষ থেকে আমরা সচেতন করছি নদীতে যেন কেউ আবর্জনা না ফেলে। এ ছাড়াও নদী সংস্কারের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। তবে সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন