তালিকা-প্যাঁচে ধর্তিমোহন

কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে গিয়ে ঘরে-বাইরে বিতর্কে জলপাইগুড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান ধর্তিমোহন রায়৷

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৭ ০২:১৪
Share:

কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে গিয়ে ঘরে-বাইরে বিতর্কে জলপাইগুড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান ধর্তিমোহন রায়৷

Advertisement

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে স্বজন-পোষণের অভিযোগ তুলে কিছু দিন ধরেই জলপাইগুড়িতে আন্দোলন চালাচ্ছে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই৷ শাসকদলের কোন নেতার আত্মীয়-পরিজনদের টেটে চাকরি হয়েছে, তার তালিকা তৈরি করে আন্দোলনে নামে তারা৷ যে তালিকায় খোদ ধর্তিমোহন তো আছেনই, আছেন তৃণমূলের বিধায়ক, কাউন্সিলর, ব্লক সভাপতিরাও। সম্প্রতি জলপাইগুড়িতে ওই নেতাদের নামে লিফলেট বিলিও শুরু হয়েছে৷ যদিও ডিওয়াইএফআই নেতাদের দাবি, আন্দোলনে নামলেও লিফলেট তাঁরা বিলি করছেন না৷ তা বিলি করছেন বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরাই৷

এতদিন মুখেই অভিযোগের উত্তর দিচ্ছিলেন ধর্তিমোহন৷ কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগকে খণ্ডন করতে বুধবার পাল্টা একটি তালিকা তৈরি করে ফেলেন তিনি৷ যে তালিকায় সিপিএমের প্রাক্তন জেলা সম্পাদক থেকে শুরু করে এবিটিএ নেতা, এমনকী যাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন, ডিওয়াইএফের সেই নেতাদেরও নাম রয়েছে৷ ধর্তিমোহনের দাবি, ওই নেতাদের কারও পরিজন, তো কোনও নেতা নিজেই টেটে চাকরি পেয়েছেন৷ ধর্তিমোহনের দাবি, মেধার ভিত্তিতেই যে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে, তা বোঝাতে তালিকা তৈরি করেন।

Advertisement

কিন্তু প্রশ্ন, সরকারি পদে থেকে এমনটা তিনি কী করে করেন! সিপিএমের বক্তব্য, বাম নেতাদের পরিজনদের কে চাকরি পেয়েছেন, তা খোঁজা ধর্তিমোহনের দায়িত্ব নয়।

ধর্তিমোহনের অবশ্য দাবি, স্বচ্ছ ভাবে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ হওয়া সত্ত্বেও বারবার তাঁর গায়ে কালি ছেটানোর চেষ্টা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘তাই উদাহরণ হিসাবেই কয়েক জনের একটা তালিকা বানিয়েছি৷ রাজনীতি করার ইচ্ছা থাকলে কয়েক’শো লোকের তালিকা
বানাতে পারতাম।’’

কিন্তু তাঁর এই তালিকা ও মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েছেন তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বও। ঘরোয়া আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ধর্তিমোহনবাবুর তালিকাটি সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন, এটা নিয়ে বেশি হইচই করার কিছু নেই। প্রত্যেকেই যোগ্যতাতেই চাকরি পেয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন