জেলা সভাপতির বিরোধী গোষ্ঠী ক্ষোভের কথা জানাতে পারে ওই আশঙ্কায় কি রাজ্য সভাপতির যাত্রাপথ পাল্টে দলের জেলা দফতর এড়ানো হল? জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির অন্দরে ওই প্রশ্ন উঠেছে।
সোমবার দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ময়নাগুড়ি থেকে জলপাইগুড়ি শহরের উপর দিয়ে হলদিবাড়িতে যান। দলের দায়িত্ব নেওয়ার পরে এটাই ছিল তাঁর প্রথম জেলা সফর। কথা ছিল ফেরার পথে তিনি শহরের ডিবিসি রোডে জেলা দফতরে যাবেন। খবর পেয়ে সাধারণ কর্মীরা সেখানে ভিড় করেন। দলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতাদের একাংশকে আশপাশে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। অভিযোগ, এর পরেই জেলা নেতৃত্ব রাজ্য সভাপতিকে অন্য রাস্তা দিয়ে শিলিগুড়ির দিকে রওনা করান।
টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপবাবু বলেন, “এই জেলায় ক্ষোভ বিক্ষোভের বিষয়টি জানা নেই। সেটা থাকতে পারে। পরে সময় করে ওই কর্মীদের সঙ্গে কথা বলব।” দলের জেলা সভাপতি দীপেন প্রামাণিক দাবি করেন, “যাত্রাপথ পরিবর্তনের কিছু নেই। রাজ্য সভাপতির শিলিগুড়িতেও সভা ছিল। হাতে সময় কম থাকায় তাঁকে হলদিবাড়ি থেকে শিলিগুড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।”
যদিও দীপেনবাবুর যুক্তি মানতে নারাজ বিরোধী গোষ্ঠীর নেতৃত্ব। আজ, মঙ্গলবার দলের জেলা সভাপতি পরিবর্তনের দাবিতে তাঁরা শহর সংলগ্ন মোহিতনগরে সভা করবেন। বিক্ষুব্ধদের সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা সভাপতি পরিবর্তন না করা পর্যন্ত রাজনৈতিক সন্ন্যাস গ্রহণের সিদ্ধান্ত ওই সভা মঞ্চ থেকে ঘোষণা করা হতে পারে। দলের পদত্যাগী জেলা সম্পাদক বাপি গোস্বামী বলেন, “আশা ছিল নতুন রাজ্য সভাপতি জেলা দফতরে আসবেন। আমরা তৈরি ছিলাম। রাজ্য সভাপতির কাছে জেলা সভাপতি পাল্টানোর দাবি জানাতাম। তাঁর কীর্তি তুলে ধরতাম। সেটা যেন না হয় সেই ভয়ে রাজ্য সভাপতিকে শহরের উপর দিয়ে শিলিগুড়িতে নিয়ে যাওয়া হল।”
একই অভিযোগ প্রাক্তন জেলা যুব মোর্চা সভাপতি জয়ন্ত চক্রবর্তীর। তিনি বলেন, “রাজ্য সভাপতিকে ফোনে সবই জানানো হবে। তাঁকে কদমতলা হয়ে শিলিগুড়িতে নেওয়া হয়। সেখান থেকে হাঁটা পথে পাঁচ মিনিট জেলা দফতরের দূরত্ব। আমরা যেন কথা বলতে না পারি, সে জন্য দলের জেলা দফতরে আনা হল না।”