প্রতিবেশীদের মধ্যে বিবাদে গুরুতর আহত হলেন দুই যুবক।
মঙ্গলবার রাতে বালুরঘাটের বঙ্গি বাদুরতলায় টোটো চালক এক যুবক উত্তম মহান্তের সঙ্গে তাঁর প্রতিবেশী অর্ণব পঞ্চাননের গণ্ডগোল হয়। অভিযোগ, অর্ণব উত্তমকে প্রচণ্ড মারধর করেন। উত্তমের চিৎকারে ছুটে আসেন পাড়ার অন্যেরা। তাঁরা সবাই মিলে অর্ণবকে মারধর করেন। দু’জনকেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু এ দিন সকালে অর্ণব হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়।
অর্ণবের বিরুদ্ধে প্রতিবেশীদের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তাঁর বাড়ি থেকে হিন্দিভাষী এক তরুণীকে পুলিশ আটক করেছে। ওই তরুণীর বাড়ি শিলিগুড়িতে। আইসি সঞ্জয় ঘোষ বলেন, ‘‘অর্ণবের বিরুদ্ধে টোটো চালকের স্ত্রী সবিতাদেবী তাঁর স্বামীর উপর প্রাণঘাতী হামলা এবং বাইরে থেকে মহিলাদের এনে অবৈধ কাজকর্মের অভিযোগ দায়ের করেছেন।’’ অর্ণবকে ধরতে তদন্ত চলছে। তরুণীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এদিন অবশ্য অর্ণবের হয়ে ওই তরুণী টোটো চালকের উপর হামলা এবং প্রতিবেশীদের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, প্রতিবেশীদের দাবি, এলাকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট হতে দেখে অর্ণবকে অনেক বার সতর্ক করা হয়েছিল। সবিতাদেবী দাবি করেন, রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তাঁর স্বামী উত্তম টোটো চালিয়ে বাড়ি ফেরার সময় দেখতে পান বাদুরতলা মোড়ে অর্ণব তাঁর বাড়িতে দেওয়া ভাড়াটিয়ার ঘর থেকে গৃহস্থালীর জিনিসপত্র বার করে গাড়িতে তুলছে। গত কয়েক দিন ধরে ভাড়াটিয়ারা ছিলেন না।
তাই উত্তমের সন্দেহ হয়। মালপত্রগুলি কার এবং সেগুলি কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জানতে গেলে অর্ণব উত্তমকে বেধড়ক পেটাতে থাকে বলে অভিযোগ। উত্তমের চিৎকারে পড়শিরা ঘটনাস্থলে এসে ধরে ফেলেন অর্ণবকে। বাসিন্দাদের পিটুনিতে আহত হওয়ায় পুলিশ তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিল।