বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে উত্তেজনা জলপাইগুড়িতে। ছবি: সন্দীপ পাল।
বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের কর্মিসভা ঘিরে এ দিন ধুন্ধুমার হল জলপাইগু়ড়ির কামারপাড়ায়। যার মূলে ছিল সেই শিশু পাচার নিয়ে অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা। কর্মিসভাটি শুরুর আগেই কামারপাড়ায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে টিএমসিপি-র একটি প্রতিনিধি দল। তাঁদের হাতে ছিল কালো পতাকা। টিএমসিপি-র অভিযোগ, শিশু পাচার ও বিক্রিতে অভিযুক্তদের আশ্রয় দিচ্ছে বিজেপি।
সভায় যোগ দিতে এলে দিলীপবাবুও সেই বিক্ষোভের মুখে পড়েন। তাঁকেও কালো পতাকা দেখতে হয়। সঙ্গে ছিল ধিক্কার জানিয়ে স্লোগান।
টিএমসিপি-র এই বিক্ষোভের চেঁচামেচি শুনে সভাঘর থেকে বেরিয়ে আসেন বিজেপি সমর্থকেরা। এবং কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁরা টিএমসিপি সমর্থকদের ঘিরে ফেলে পাল্টা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। দু’দলের মধ্যে হাতাহাতির উপক্রম হয়। আতঙ্কে এলাকার ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করতে শুরু করেন। সদরের ডিএসপি-র নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
সভার পরে দিলীপ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘তৃণমূলের বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সামনে বলেছে, চাকু মেরে দেব। তার আগে আমরা ওদের হাত ভেঙে দেব। আবার বিক্ষোভ দেখালে পা ভেঙে দেব।’’ এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি অভিজিৎ সিংহ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘বিজেপি সভাপতি শিশু পাচারকারীদের সমর্থন করে বিবৃতি দিচ্ছেন। আমাদের রাজ্যে এমন চলতে পারে না। তাই গণতান্ত্রিক ভাবে বিক্ষোভ দেখিয়েছি।’’ অভিজিৎবাবুর অভিযোগ, ‘‘বিজেপি সমর্থকেরা মারমুখী হয়ে তেড়ে আসে। আসলে রাজ্য সভাপতি নেতা-কর্মীদের প্ররোচিত করে হামলার মতলব করেছিলেন।’’