ধৃত নিখিলেন্দু। — নিজস্ব চিত্র
শিশু চুরির ঘটনায় কলকাতা থেকে ধৃত চিকিৎসককে তেরো দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। মঙ্গলবার কোচবিহার মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সৌরভ দে ওই নির্দেশ দেন।
শিশু-পাচারে জড়িত সন্দেহে ওই চিকিৎসক নিখিলেন্দু মহাপাত্রকে সোমবার রাত ৯টা নাগাদ কলকাতার আনন্দপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বাড়ি তমলুকে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি কোচবিহার শহর সংলগ্ন বাবুরহাটে ব্যক্তিগত চেম্বার খুলে কাজ করতেন। সরকারি আইনজীবী সামসুল হক জানান, আগামী ২৬ ডিসেম্বর ফের তাঁকে আদালতে তোলা হবে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল বলেন, “ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।”
পুলিশ সূত্রের খবর, কিছুদিন আগে কোতোয়ালি থানার মহিষবাথানে দুটি বাড়ি থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার হয়। ওই ঘটনায় স্বাতী আচার্য, শিউলি দাস নামে দুই মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শিউলিদেবীর সঙ্গে অভিযুক্ত চিকিৎসকের যোগাযোগ ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তা নিয়ে গত ২৯ ডিসেম্বর কোতোয়ালি থানায় চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়। সেই সময় পালিয়ে যান ওই চিকিৎসক। তাঁর মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে পুলিশ জানতে পারে কোথায় লুকিয়ে আছেন ওই চিকিৎসক।
তদন্তকারী অফিসারেরা জানান, একের পর এক সিমকার্ড বদলে ফেলেন ওই চিকিৎসক। কিন্তু কোচবিহারের কিছু ঘনিষ্ঠ লোকের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। সেই থেকে পুলিশ তাঁর হদিশ পায়। এর পরেই তাঁকে গ্রেফতারের ছক তৈরি করা হয়। এ দিন অবশ্য অভিযুক্ত চিকিৎসক নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন। তিনি পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, প্রসব বেদনা নিয়ে দুই মহিলা তাঁর চেম্বারে হাজির হয়েছিলেন। সেখানেই তাঁদের প্রসব হয়ে যায়। ঘটনাচক্রে, দুই মহিলা সেখান থেকে পালিয়ে যান। তিনি কোনও শিশুপাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন কি না তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।