সশরীরে হাসপাতালে উপস্থিত না থাকলেও, হাজিরা খাতায় নাকি সই থাকে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকের একাংশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ছিলই। শুক্রবার হাতেনাতে এমনই এক ঘটনার প্রমাণ মিলল বলে দাবি। এ দিন দুপুরে কোচবিহারে একটি নার্সিংহোমে গোলমালের সময় সেখানে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে মেডিক্যালের এক চিকিৎসককে। মেডিক্যাল কলেজের হাজিরা খাতাতেও ওই চিকিৎসকেরই সই ছিল বলে জানা গিয়েছে। একই ব্যক্তি একই দিনে দু’জায়গায় কীভাবে উপস্থিত থাকেন তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।
এ দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শল্য চিকিৎসক তরুণ পাল উপস্থিত না থাকলেও, হাজিরা খাতায় তার সই ছিল বলে অভিযোগ। হাসপাতাল সুপার তা অধ্যক্ষকে জানান। অধ্যক্ষ সমীর ঘোষ রায় বলেন,‘‘ঘটনা সত্যি। ওই চিকিৎসককে শো-কজ করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’ হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মীদের একাংশের অভিযোগ অধ্যক্ষ সবই জানেন। কর্তৃপক্ষের একাংশের মদতেই এ সব হচ্ছে বলে অভিযোগ। যদিও, অধ্যক্ষ তা মানতে রাজি হননি।
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ইউনিটের সম্পাদক সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন,‘‘তদন্ত করে অনিয়ম সামনে এলে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। কিছু চিকিৎসকের এমন প্রবণতা রয়েছে।’’
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে শুধু শুক্রবারই নয়, শনিবারের হাজিরা খাতাতেও তরুণবাবুর সই রয়েছে। কাকে দিয়ে তিনি হাজিরাখাতায় সই করিয়েছেন সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানানোর দাবি উঠেছে। যদিও, চিকিৎসক তরুণবাবু বলেন, ‘‘অভিযোগ ঠিক নয়। আমার হয়ে কে সই করেছে জানি না। আমাকে তা নিয়ে কেউ কিছু জানায়নি।’’