দু’দিনের ঝড়ে লন্ডভন্ড ডুয়ার্স

প্রথম বারের ঝড়ের তাণ্ডব মালবাজারে। দ্বিতীয় ঝড়ে বেসামাল হল মেটেলি সহ সংলগ্ন বেশ কিছু চা বাগান। ঝড়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলে শিলাবৃষ্টিও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালবাজার ও মেটেলি শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০১৬ ০২:০৮
Share:

ঝড়ে উপড়ে পড়েছে চা বাগানের আস্ত গাছ। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক

প্রথম বারের ঝড়ের তাণ্ডব মালবাজারে। দ্বিতীয় ঝড়ে বেসামাল হল মেটেলি সহ সংলগ্ন বেশ কিছু চা বাগান। ঝড়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলে শিলাবৃষ্টিও।

Advertisement

শনিবার রাতে কালবৈশাখীর তাণ্ডবে মেটেলির নাগেশ্বরী চা বাগানে বেশ কিছু শ্রমিক আবাস যেমন ভেঙে পড়েছে তেমনি বাগানের ছায়াগাছেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের পর দু’দিন কাটলেও সোমবার দুপুর পর্যন্ত বিদ্যুত নেই নাগেশ্বরীতে। শনিবারের ঝড়ে মেটেলি বাজার এলাকাতেও প্রচুর গাছ পড়ে গিয়েছে। নাগরাকাটার শুল্কাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতে ৩০টিরও বেশি বাড়ি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশকিছু বাড়ির টিন উড়ে গিয়েছে ঝড়ে। শনিবার রাত ৮টার পর থেকেই এলাকা জুড়ে ঝোড়ো হাওয়া শুরু হয়ে যায়। বিদ্যুতের তারে গাছ পড়ে যাওয়ার পাশাপাশি টেলিপরিষেবাও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। নাগেশ্বরী ছাড়াও জুরান্তি , ইংগু চা বাগানেও ঝড়ের ভালরকমের প্রভাব পড়ে। উল্লেখ্য ডানকান গোষ্ঠীর সমস্যাক্লিষ্ট চা বাগানগুলোর মধ্যে মেটেলির নাগেশ্বরী অন্যতম।

ঝড়ের প্রভাব নাগেশ্বরীতেই বেশিমাত্রায় পড়ায় চিন্তিত ডানকানের বাগান কর্তৃপক্ষও। বাগানের সিনিয়র ম্যানেজার চন্দ্রপ্রকাশ কাপুর জানান বাগানে বিদ্যুত না থাকায় কারখানা চালাতেই সমস্যা হচ্ছে। জেনারেটরের তেল জোগাড় করে কিছুটা কাজ হলেও বিদ্যুত না আসলে কিছুই করা যাচ্ছে না। বাগানের এক্সটেনসন ডিভিশনের কর্মী দিবাকিশোর ভট্টাচার্য বললেন ‘‘শতাধিক ছায়া গাছ পড়ে গেছে। চা গাছের নতুন কুঁড়িও শিল পড়ে নষ্ট হয়েছে। পরিস্থিতি ঠিক করতে অন্তত দিন সাতেক সময় লেগে যাবে।’’ মেটেলির বাসিন্দা মানিক শীল বলেন,‘‘ যে মাপের শিল পড়েছে তা মাথায় পড়লে মাথাও ফেটে যেত। এ যাবত কালে এতবড় শিল পড়তে দেখি নি।

Advertisement

চা গাছের পাশাপাশি ক্ষতি হয়েছে পাটচাষেও। নাগরাকাটা ব্লকের শুল্কাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকায় পাটগাছে শিল পড়ে গাছ ভেঙে গিয়েছে। অনেক এলাকাতে গাছও নুয়ে পড়েছে। লক্ষাধিক টাকার পাট চাষের ক্ষতি হয়ে গিয়েছে বলে নাগরাকাটার চাষিরা জানিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার প্রথম ঝড় এবং শিলাবৃষ্টিতে প্রবল ক্ষতি হয় মালবাজার পুরএলাকা সহ,ওদলাবাড়ি, ডামডিম, তেশিমিলা , কুমলাই , বাতাবাড়ি এলাকাতে। একদিন পরই ফের শনিবার আবার ঝড় হওয়ায় নাভিশ্বাস উঠেছে ডুয়ার্সের।

মালবাজারের মহকুমাশাসক জ্যোতির্ময় তাঁতি বলেন, ‘‘সরকারি ভাবে ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখছি। দূর্গতরা যাতে সবরকম সাহায্য পায় তার ব্যবস্থা করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন