ছাত্রী ও অভিভাবকদের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার এবং অশালীন আচরণের অভিযোগ উঠল এক শিক্ষাকর্মীর বিরুদ্ধে। এক ছাত্রীর করা লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতারও করা হল ওই শিক্ষাকর্মীকে। সোমবার শিলিগুড়ির রবীন্দ্রনগর গার্লস হাইস্কুলের ঘটনা। ধৃতের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে তোলার কথা।
সোমবার দুপুরে রবীন্দ্রনগরে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিভাবকদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে স্কুল চত্ত্বর। পরে পুলিশ গিয়ে নারায়ণ রায় নামে ওই শিক্ষাকর্মীকে তুলে নিয়ে যায় থানায়। জিজ্ঞাসাবাদের পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ডিসি গৌরব লাল বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।’’ যদিও দুর্ব্যবহার বা অশালীন আচরণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নারায়ণবাবু।
স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি মানস ঘোষ বলেন, ‘‘ওই শিক্ষাকর্মী দীর্ঘ দিন থেকেই কাজে নানা গাফিলতি করছিলেন। পরিচালন সমিতি কিছুদিন হল তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দিয়েছে। আমরা স্কুল পরিদর্শকের কাছেও তা জানিয়েছি।’’
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার দুপুরে। নবম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য লাইন দিয়েছিল ছাত্রীরা। সেখানেই কিছু ছাত্রীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ ওঠে ওই শিক্ষাকর্মীর বিরুদ্ধে। তখন এক একাদশ শ্রেণির ছাত্রী প্রতিবাদ করলে তার সঙ্গেও নারায়ণবাবুর ঝামেলা শুরু হয়। তখনই তার সঙ্গে নারায়ণ অশালীন আচরণ করেন বলে অভিযোগ।
ঝামেলার ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি মানস ঘোষ। তিনি জানান, স্কুলের শিক্ষিকাদেরও অভিযোগ রয়েছে ওই শিক্ষাকর্মীর আচরণ নিয়ে। এ দিনের ওই ঘটনার পর স্কুলে স্টাফ কাউন্সিলের বৈঠক ডাকা হয়। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বিষয়টি পুলিশকে জানানো হবে। পরে পুলিশ এসে নারায়ণবাবুকে থানায় নিয়ে যায়। পরে পুলিশ জানায়, স্কুলের এক ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।