নির্বাচন হলেই মিটিং মিছিল আর জনসমাবেশ। বাড়িতে বাড়িতে চলে প্রচার। কিন্তু নতুন প্রজন্মের সেই মিটিং মিছিলে যাওয়ার মতো সময় কোথায়?
সোশ্যাল মিডিয়া তাদের ডুবিয়ে রেখেছে মোবাইলের মধ্যে। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটারে নিয়ে ব্যস্ত প্রত্যেকে। কিন্তু প্রার্থী কিংবা দলগুলির নজর এড়াতে পারেনি তারাও। তাই সোশ্যাল মিডিয়াকেই প্রচারের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে তারা। ইসলামপুরের কেবল মাত্র শহরেই নয় প্রত্যন্ত এলাকাতেও সোশ্যাল মিডিয়াকেই মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। সারদা থেকে নারদ কাণ্ড কোনও কিছুই বাদ যাচ্ছে না প্রচারে। দিব্যি প্রচার হিসেবে পাঠানো হচ্ছে নানা ভিডিও থেকে ব্যঙ্গ করা কার্টুন চরিত্রও। তবে প্রচারে অভিনবত্বকে লুফে নিচ্ছেন ফেসবুক হোয়াস অ্যাপে ব্যস্ত প্রজন্মও। কলেজ পড়ুয়া থেকে অনেক যুবকই দলের নামে প্রার্থীদের ছবি দিয়ে পেজও তৈরি করে নিয়েছেন। প্রচার সংক্রান্ত পোস্ট থেকে শুরু করে বিরোধীদের বিদ্রুপ সমস্ত কিছুই প্রচার হিসেবে থাকে হয় সেখানে। অনেক প্রার্থীকেও দেখা গিয়েছে তাঁকে সমর্থন করার আহ্বান পোস্ট করতে। চোপড়ার নির্দল প্রার্থী অশোক রায়, তৃণমূল প্রার্থী হামিদূল রহমান, চাকুলিয়ার ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী আলি ইমরান রামজ, গোয়ালপোখরের বিজেপির প্রার্থী দেবাশিস সরকার সহ বেশির ভাগ প্রার্থীই ছবি দিয়েই প্রচার করছেন। তাতে পড়ছে ভুরিভুরি লাইক। ইসলামপুরের ডিওয়াইএফ কর্মী মোহিত অগ্রবাল বলেন, ‘‘প্রচারের মাধ্যম হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়া খুব কাজের। এই সময়ে এক সঙ্গে অনেক বড় এলাকাতে প্রচার ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।’’ কলেজ ছাত্র অভিজিৎ মণ্ডল, কলেজ ছাত্রী শ্বেতা দাসরা বলেন, ‘‘এই প্রথম ভোট দেব। ফেসবুকে এক সঙ্গে সব দলের প্রচার পাওয়া যায়। তা থেকেই বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করি, কে কী বলতে চাইছেন।’’