বক্সায় বিদ্যুৎ, অপেক্ষায় টোটোপাড়া

ঢল নেমেছিল পাহাড়ি রাস্তায়। শনিবার বক্সা পাহাড়ের সদর বাজার এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ উদ্বোধনের অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকতে আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রাম থেকে এসেছিলেন বহু মানুষ। উদ্বোধন করেন জেলাশাসক ও জেলাপরিষদ সভাধিপতি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৬ ০২:০৯
Share:

ঢল নেমেছিল পাহাড়ি রাস্তায়। শনিবার বক্সা পাহাড়ের সদর বাজার এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ উদ্বোধনের অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকতে আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রাম থেকে এসেছিলেন বহু মানুষ। উদ্বোধন করেন জেলাশাসক ও জেলাপরিষদ সভাধিপতি।

Advertisement

এতদিন বক্সা পাহাড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। প্রথম পর্যায়ে প্রায় চার কোটি টাকা খরচ করে বক্সা পাহাড়ে বিদ্যুৎ পৌঁছনো হল। ভবিষ্যতে টোটো পাড়াতেও বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে বলে জানান আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক দেবীপ্রসাদ করণম। রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি দফতর বক্সা দুর্গের সৌন্দর্যায়নের জন্য প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। বক্সা দুর্গে পাহাড়ে ওঠার রাস্তা ধস প্রবণ। সেই রাস্তা মেরামতির জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানান জেলাশাসক। পাহাড়ি রাস্তা মেরামত করে বক্সা দুর্গের উন্নয়নের কাজ শুরু করা হবে বলে জানান জেলাশাসক।

এ দিন সদর বাজার, বক্সা দুর্গ ও দাড়াগাঁও এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছল বলে জানান আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সভাপতি মোহন শর্মা। বড়দিনের আগে বক্সা পাহাড়ের বাকি আটটি গ্রামেও বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। সদর বাজার এলাকার বাসিন্দা ইন্দ্রশঙ্কর থাপা এ দিন বাজনা বাজিয়ে রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন। বিদ্যুৎ সংযোগ আসায় খুশি হলেও ইন্দ্রবাবু জানান, এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। পর্যটনের উন্নতির জন্য ধসে যাওয়া রাস্তা মেরামতির প্রয়োজন বলেও জানান তিনি। লাল বাংলোর বাসিন্দা প্রেম দোর্জি ডুকপা বলেন, ‘‘আমরাও অপেক্ষায় আছি গ্রামে বিদ্যুৎ যাওয়ার জন্য।’’ বক্সা পাহাড়ের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র লেপচাখা। সেখানে এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছয়নি। লেপচাখার বাসিন্দা তেন্দু ডুকপা বলেন, ‘‘পর্যটন মরসুমে কয়েকশো পর্যটক আনাগোনা করেন লেপচাখায়। সেখানেও বিদ্যুৎ পৌঁছলে বাসিন্দাদের সঙ্গে পর্যটকেরাও উপকৃত হবেন।’’ বিদ্যুৎ পৌঁছনোয় খুশির আমেজ ছিল সদর বাজার জুড়ে। স্থানীয় বাসিন্দা অর্জুন থাপা বলেন, “আজ রাত থেকেই আলো জ্বলবে গ্রামে।’’ কুপির আলোয় পড়ার দিন শেষ, মাতোয়ারা পড়ুয়ারাও।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন