ট্রেন-ধাক্কায় ফের হাতির মৃত্যু ডুয়ার্সে

ফের ট্রেনের ধাক্কায় হাতি মৃত্যু হল ডুয়ার্সে। বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে বানারহাটের দেবপাড়া চা বাগান সংলগ্ন রেল লাইনের উপর একটি দলছুট হাতিকে ধাক্কা মারে শিলিগুড়ি-আলিপুরদুয়ার রুটের একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বানারহাট শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০১৮ ০২:৪২
Share:

করুণ: নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মৃত হাতিটির দেহ। শনিবার বানারহাটে। নিজস্ব চিত্র

ফের ট্রেনের ধাক্কায় হাতি মৃত্যু হল ডুয়ার্সে। বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে বানারহাটের দেবপাড়া চা বাগান সংলগ্ন রেল লাইনের উপর একটি দলছুট হাতিকে ধাক্কা মারে শিলিগুড়ি-আলিপুরদুয়ার রুটের একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই হাতিটি মারা যায়। এই ঘটনায় রেলকেই দায়ী করেছে বন দফতর।

Advertisement

সূত্রের খবর, শুক্রবার রাত ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। ডায়না জঙ্গল থেকে ২০-২৫টি হাতির একটি দল বেরিয়ে আসে। মাঝে একটি হাতি দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সঙ্গীদের খুঁজতে গিয়ে হাতিটি রেললাইনে উঠতেই আলিপুরদুয়ারগামী একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন হাতিটিকে ধাক্কা মারে। ট্রেনের সঙ্গে প্রায় ১০০ গজ ছেঁচড়ে যাওয়ার পর লাইন থেকে ৩০ ফুট নীচে ছিটকে পড়ে হাতিটি। রেলের লাইনম্যানরা ঘটনাটি দেখতে পেয়ে ক্যারন স্টেশনে খবর দেন। সেখান থেকেই পরে বন দফতরকে খবর দেওয়া হয়।

খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যান জলপাইগুড়ি বন বিভাগের ডিএফও মৃদুল কুমার, জলপাইগুড়ির ওয়াইল্ডলাইফ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরী-সহ বিন্নাগুড়ি ও ডায়না রেঞ্জের বনকর্মীরা। তাঁরা পৌঁছনোর আগেই জখম হাতিটির মৃত্যু হয়।

Advertisement

ঘটনাটি নিয়ে বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, ‘‘এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আরও দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হল, রেল দফতর আমাদের কোনও কথাই রাখছে না। হাতি-মৃত্যু রুখতে সুপ্রিম কোর্ট কিছুদিন আগেই যে অন্তর্বর্তী রায় দিয়েছেন, রেল সেই রায় মানছে না। লালগড়ে বাঘের মৃত্যু নিয়ে কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় বনমন্ত্রী মেনকা গাঁধী অনেক বড় বড় কথা বলেছেন। কিন্তু হাতি-মৃত্যু নিয়ে উনি মুখ খোলেন না। উনি কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রকের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনায় বসছেন না।’’

যে ট্রেনটির ধাক্কায় হাটিটির মৃত্যু হয়েছে, সেই ট্রেনের চালক স্টেশনে রিপোর্ট দায়ের না করেননি। তবে হাতিটির মৃত্যু যে ট্রেনের ধাক্কাতেই হয়েছে তা স্বীকার করেছেন আলিপুরদূয়ারের ডিআরএম চন্দ্রবীর রমন। তিনি বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ জলপাইগুড়ির ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরী বলেন, ‘‘যাদের গাফিলতিতে প্রতিদিন হাতি মারা যাচ্ছে সেই রেল দফতরের কোনও অধিকার নেই হাতির লোগো ব্যবহার করার। রেল দফতরের ম্যাসকট ‘ভোলু গার্ড’-এর লোগো তারা তুলে নিক। এলিফ্যান্ট করিডর হওয়া সত্ত্বেও লাইনগুলির উপর অবাধ গতিতে ট্রেন চলছে। এই দায় রেল দফতরের।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন