চা শিল্পে জোর

দার্জিলিং চায়ের বিশ্বজোড়া যে কদর তাতে কিছুটা ভাটা পড়েছে। রাজ্য চেষ্টা করছে সেই জায়গা পুনরুদ্ধার করার। শনিবার শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে স্টেট প্রোডাক্টিভিটি কাউন্সিলের এক সেমিনারে এ কথা জানিয়েছেন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৭ ০২:৩৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

দার্জিলিং চায়ের বিশ্বজোড়া যে কদর তাতে কিছুটা ভাটা পড়েছে। রাজ্য চেষ্টা করছে সেই জায়গা পুনরুদ্ধার করার। শনিবার শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে স্টেট প্রোডাক্টিভিটি কাউন্সিলের এক সেমিনারে এ কথা জানিয়েছেন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক।

Advertisement

বর্তমান পরিস্থিতিতে চা শিল্পের প্রয়োজনে কী কী করা দরকার তা নিয়ে এ দিন সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল। শ্রমমন্ত্রী বলেন, ‘‘দার্জিলিং চা পৃথিবী বিখ্যাত ছিল। সেই জায়গা থেকে অনেকটা সরে এসেছে। আমাদের চেষ্টা সেই জায়গায় ফিরে যাওয়া। গত আর্থিক বছরে ১৭ শতাংশ চায়ের রফতানি হয়েছে। রফতানির এই হার ৪.৪০ শতাংশে নেমে গিয়েছিল। মালিকপক্ষকে বলব বাজার ধরার দিকে নজর দিতে। রফতানি বাড়লে লাভ বাড়বে। তাতে শ্রমিকদের চাহিদাও মেটাতে পারবেন আপনারা। চা শিল্পের উন্নতির জন্য কিছু দরকার হলে সরকার সাহায্য করতে প্রস্তুত।’’

চা বাগানের সমস্যা মেটাতে, গুণগত চা উৎপাদনে জোর দিতে শ্রমিক ও মালিকপক্ষকে একসঙ্গে মিলে চলার পরামর্শ দেন। চা বাগানগুলোতে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির দাবিতে আন্দোলন চলছে। শ্রমিক অসন্তোষের জেরে চা বাগান বন্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটছে। মলয়বাবু জানান, চা বাগানগুলো যাতে ঘুরে দাঁড়াতে পারে তার চেষ্টা চলছে। গত বছর ২১ টি বাগান বন্ধ হয়েছিল। সেগুলোর অধিকাংশই খোলানো হয়েছে। কোনও বাগান বন্ধ হলে ‘চা বাগিচা আইন’ অনুযায়ী কেন্দ্র সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারে। ‘ডানকান’ গোষ্ঠীর একাধিক বাগান বন্ধ হলে কেন্দ্র সে গুলো অধিগ্রহণ করার কথা জানায়। ওই বাগানগুলোর শ্রমিকদের বেতন, সুযোগ সুবিধা মেলেনি বলে শ্রমমন্ত্রীর অভিযোগ।

Advertisement

তবে তিনি জানান, মালিকপক্ষ ওই বাগানগুলোর কয়েকটি খুলতে উদ্যোগী হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে রাজ্য সরকার চা বাগানে শ্রমিকদের কথা ভেবে বিভিন্ন ব্যবস্থা করেছে। ১০০ দিনের কাজ, ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা শিবির, ৩০০ টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ২ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া-সহ আর কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কোনও সমস্যা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আলোচনা করে মেটানোর জন্য মন্ত্রী গোষ্ঠী করা হয়েছে। মালিক ও শ্রমিকপক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে সমস্যা মেটাবেন তাঁরা। তাঁর কথায়, ‘‘বর্তমান সরকার শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। তা নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে আলোচনা হবে। অন্যান্য সমস্যা থাকলে জানাতে বলা হয়েছে। সরকারের অবস্থান খুবই ইতিবাচক।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement