প্রতীকী ছবি।
সাফাই অভিযানে গোয়ালঘর সরানো ঘিরে পঞ্চায়েতের শ্রমিক ও এক পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল ইংরেজবাজারের সিকান্দরপুরে। রবিবার বিকেলে এই সংঘর্ষের ঘটনা দুপক্ষেরই আটজন আহত হয়েছেন। তিনজন মালদহ মেডিক্যালে ও বাকিরা স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পঞ্চায়েতের শ্রমিকের উপরে হামলার ঘটনায় থানাতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন অমৃতি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান সীতা মণ্ডল। পঞ্চায়েতের শ্রমিকদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন অভিযুক্ত পরিবারের সদস্যেরা। ঘটনার পরিপেক্ষিতে ওইদিনই রাতে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন ধৃতদের পেশ করা হয়েছে মালদহ জেলা আদালতে।
ইংরেজবাজার থানার অমৃতি পঞ্চায়েতে নির্মল মিশন বাংলা প্রকল্পে সপ্তাহ জুড়ে সাফাই অভিযান চলছে। ওই পঞ্চায়েতের সিকানন্দপুর গ্রামে রাস্তার ধারে বেশ কয়েকটি গোয়ালঘর রয়েছে। সেই গোয়ালঘরগুলি সরানোর বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় পঞ্চায়েতের তরফে।
অভিযোগ, অনেকে গোয়ালঘর সরালেও স্থানীয় বাসিন্দা প্রণব ঘোষেরা একাধিকবার বলা সত্ত্বেও তা সরাননি। ওই দিন বিকেলে পঞ্চায়েতের তরফে তা সরাতে গেলে বাধা দেয় প্রণবেরা। এই নিয়ে দুপক্ষই বাঁশ, লাঠি নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে যায়। পঞ্চায়েতের শ্রমিক সনাতন মণ্ডল, ফণিভূষণ মণ্ডল, হিমালয় মণ্ডল ও বিজয় মণ্ডল-সহ পাঁচজন আহত হন। অপর দিকে প্রণব ঘোষ সহ তিনজন আহত হয়েছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পঞ্চায়েত প্রধান সীতাদেবী বলেন, ‘‘গোয়ালঘর থাকার জন্য রাস্তাঘাট নোংরা আবর্জনায় ভরে থাকছে। সেই সঙ্গে মশা, মাছির উপদ্রবও হচ্ছে। তাই গোয়ালঘর মালিকদের বলা হয়েছিল ফাঁকা স্থানে সরিয়ে নিতে। প্রত্যেকে সরিয়ে নিলেও ওই পরিবার সরিয়ে নেয়নি। আমাদের শ্রমিকেরা গেলে উল্টে মারধর করা হয়। পুলিশ ও প্রশাসনকে পুরো বিষয়টি লিখিত ভাবে অভিযোগ জানানো হয়েছে।’’ প্রণবের পাল্টা দাবি, ‘‘আমাদের জমিতেই গোয়ালঘর রয়েছে। তা সত্ত্বেও জোর করে তা ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। তাই প্রতিবাদ করাতেই আমাদের মারধর দিয়ে পাল্টা অভিযোগ করা হচ্ছে।’’ মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।