Ganges

বিঘার পর বিঘা জমি খেয়ে এগোচ্ছে নদী, মালদহের রতুয়ায় দূরত্ব কমছে গঙ্গা এবং ফুলহারের মধ্যে

বিঘার পর বিঘা জমি গঙ্গাগর্ভে। ফলে দূরত্ব কমছে গঙ্গা এবং ফুলহারের মধ্যে। দুই নদী মিলে গেলে কী হবে, সেই পরিস্থিতির কথা ভেবে আতঙ্কিত রতুয়ার বাসিন্দাদের একাংশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

রতুয়া শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২৩ ১৬:৫০
Share:

মালদহের রতুয়ায় ভাঙন আতঙ্ক। — নিজস্ব চিত্র।

বিঘার পর বিঘা জমি খেয়ে এগোচ্ছে গঙ্গা। তার ফলে ক্রমশ দূরত্ব কমছে গঙ্গা এবং ফুলহারের মধ্যে। দুই নদী মিলে গেলে কী হবে, সেই পরিস্থিতির কথা ভেবে আতঙ্কে ঘুম উড়েছে মালদহের রতুয়ার মহানন্দাটোলা এবং বিলাইমারি এই দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের। ভয়ে এলাকা ছাড়ছেন অনেকে।

Advertisement

ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে গঙ্গার ভাঙন। গত দু’দিনের ভাঙনে তলিয়ে গেছে কয়েকশো বিঘা জমি। রতুয়া-১ ব্লকের মহানন্দাটোলা পঞ্চায়েতের শ্রীকান্তটোলা গ্রামে তৈরি হয়েছিল অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প। নদীর ভাঙনে তলিয়ে গিয়েছে সেই শিবির। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ভাঙনের জেরে এখন গঙ্গা এবং ফুলহার এই দুই নদীর দূরত্ব কমছে। এই দুই নদী মিশে যাওয়ার আতঙ্কে এলাকা ছাড়ছেন অনেকেই। ভাঙনের ফলে মহানন্দাটোলা এবং বিলাইমারি এই দুই পঞ্চায়েতের বিপুল জমিও নদী গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। এখন নদী এগোচ্ছে গ্রামের দিকে। আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা।

শৈলেশচন্দ্র মণ্ডল নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘‘পশ্চিমী হাওয়া বইলে ভাঙনের তীব্রতা বাড়ছে। আমরা আতঙ্কে আছি।’’ আবার অলোককুমার মণ্ডল নামে শ্রীকান্তটোলার এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘দুই হাতি লড়াই করছে। আর বিপদে পড়েছি আমরা। কোনও সরকারই ভাঙন প্রতিরোধের জন্য কোনও স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা করেনি।’’

Advertisement

রতুয়ার তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের বিমাতৃসুলভ আচরণের ফলেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তার জেরে গঙ্গা এবং ফুলহার নদীর দূরত্ব কমে হয়েছে মাত্র ২৫০ মিটার। এই দুই নদী মিলে গেলে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হবে। গঙ্গা নদীর বাম তীর ঘেঁষে প্রায় ৭০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন হচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার উদাসীন। বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গ এই তিন রাজ্য গঙ্গা নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু এই তিন রাজ্যের সরকারই বিজেপি তথা মোদি বিরোধী। তাই গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধের জন্য অর্থ মঞ্জুর করছে না কেন্দ্রীয় সরকার।’’

উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, ‘‘রাজ্য কোনও পরিকল্পনা করেনি। কেন্দ্রীয় সরকারকে এই সমস্যা সমাধানের জন্য কোনও দিন প্রস্তাবও পাঠায়নি। কেন্দ্রীয় সরকার বৈঠক ডাকলেও রাজ্যের কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত থাকেন না। সমরবাবুদের অনুরোধ করছি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘুম ভাঙান।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন