ক্ষুব্ধ প্রাক্তন মন্ত্রী

সরকারি নিরাপত্তা রক্ষী ছাড়লেন করিম

এক জন নিরাপত্তারক্ষী তুলে নেওয়ার নির্দেশ এসেছিল। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে দু’জন নিরাপত্তারক্ষীকেই ছেড়ে দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আবদুল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘বাম আমলেও প্রাক্তন বিধায়ক থাকা অবস্থায় আমাকে দু’জন নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হয়েছিল। রাজ্য সরকারের পুলিশ কর্মীর অভাব পড়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইসলামপুর শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:১০
Share:

এক জন নিরাপত্তারক্ষী তুলে নেওয়ার নির্দেশ এসেছিল। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে দু’জন নিরাপত্তারক্ষীকেই ছেড়ে দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আবদুল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘বাম আমলেও প্রাক্তন বিধায়ক থাকা অবস্থায় আমাকে দু’জন নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হয়েছিল। রাজ্য সরকারের পুলিশ কর্মীর অভাব পড়েছে। এখন আমার নিরাপত্তা রক্ষীকে নিয়েই টানাটানি করছে।’’ ইতিমধ্যেই তৃণমূল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন করিম চৌধুরী।

Advertisement

প্রাক্তন মন্ত্রী আবদুল করিম চৌধুরী জানান, গত বিধানসভা নির্বাচনের হেরে যাওয়ার পরই তাঁর এক জন নিরাপত্তারক্ষী তুলে নেওয়া হবে বলে জেলার পুলিশ লাইন থেকে জানানো হয়েছিল। পুলিশ সুপারকে অনুরোধ করেই দু’জনকে রাখা হয়েছিল। কিন্তু বুধবার ফের জানানো হয় এক জনকে সরিয়ে নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘‘আমার ছেলে, ভাইপো, এলাকার যুবকরা রয়েছেন। আমার নিরাপত্তারক্ষীর প্রয়োজন নেই। কাজেই আমি জানিয়ে দিয়েছি এক জন নয়, দু’জনকেই ছেড়ে দিচ্ছি।

যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, স্কুল সার্ভিসের গ্রুপ ডি পরীক্ষার পাশাপাশি মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। সেই কারণেই পুলিশ কর্মীদের তুলে নেওয়া হচ্ছে। উত্তরদিনাজপুরের পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠোর বলেন, ‘‘গ্রুপ ডি, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য প্রতিটি দফতর থেকে এক জন করে রক্ষী সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আমার নিরাপত্তারক্ষীদেরও দিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’

Advertisement

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ৯ ফেব্রুয়ারি ইসলামপুর কলেজে ধুন্ধুমার হওয়ার পরেই প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুল করিম চৌধুরীকে কলেজ পরিচালন সমিতি ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর পরেই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন করিম চৌধুরী।

এ দিকে কলেজে পরিচালন সমিতির প্রসঙ্গে কোনও নির্দেশ না আসায় বিপাকে পড়েছেন ইসলামপুর কলেজ কর্তৃপক্ষ।

কলেজ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজ্যের শিক্ষা দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। যদিও আগের সিদ্ধান্ত মেনেই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে মঙ্গলবার দায়িত্ব গ্রহণ করেন কলেজের এক অধ্যাপক সুজিত পাল। তিনি বলেন, ‘‘অধ্যক্ষ অবসর নেওয়ার সময় ঠিক হয়েছিল প্রত্যেক অধ্যাপক ছ’মাস করে দায়িত্ব সামলাবেন। এখন আমি দায়িত্ব নিয়েছি। তবে পরিচালন সমিতির বিষয়টি পরিষ্কার না হওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন