COVID19

সর্বত্র মহড়া, দাবি খামতি নেই প্রস্তুতির

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে কোভিড-১ ব্লকের চার তলা ভবনের এক তলায় নয় শয্যার একটি ওয়ার্ডে এ দিন সহকারী সুপার, বাস্তুকার, নার্সিং স্টাফদের দল গিয়ে পরিকাঠামো, যন্ত্রাংশ পরীক্ষা করেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:৫১
Share:

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে কোভিড-পরিকাঠামোর মহড়া। ছবি: বিনোদ দাস

স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মেনে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে কোভিড চিকিৎসা পরিষেবার দেওয়ার পরিকাঠামো ফের প্রস্তুত রাখার মহড়া হল। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল থেকে বালুরঘাট হাসপাতাল, মালদহ মেডিক্যাল, কোচবিহার মেডিক্যাল সর্বত্রই মঙ্গলবার ওই মহড়া হয়। ভেন্টিলেটর, অক্সিজেন প্ল্যান্ট, অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা, যন্ত্রপাতি ঠিক মতো চলছে কিনা, খতিয়ে দেখা হয়। সংশ্লিষ্ট বাস্তুকারেরা গিয়ে যন্ত্রপাতি পরীক্ষা করেন। সে মতো স্বাস্থ্য দফতরে রিপোর্ট পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

Advertisement

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে কোভিড-১ ব্লকের চার তলা ভবনের এক তলায় নয় শয্যার একটি ওয়ার্ডে এ দিন সহকারী সুপার, বাস্তুকার, নার্সিং স্টাফদের দল গিয়ে পরিকাঠামো, যন্ত্রাংশ পরীক্ষা করেন। ভবনে ১১০টি শয্যা রয়েছে। ২০২১-এর মাঝামাঝি কোভিড পরিস্থিতিতে শেষ ব্যবহার হয়েছিল। দেখা যায়, সব সরঞ্জাম পড়ে থাকায় ধুলো জমেছে। অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহা বলেন, ‘‘ওই ব্লকে ১১০টি শয্যা রয়েছে। সেগুলো কার্যত প্রস্তুতই রয়েছে। ১৮টি সিসিইউ শয্যা রয়েছে। শিশু বিভাগে ৩০ শয্যার ‘পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট’ রয়েছে কোভিড আক্রান্ত শিশুদের রাখতে। তবে কোভিড না থাকায় তা অন্য শিশুদের চিকিৎসায় ব্যবহার হচ্ছে। প্রয়োজনে কোভিডে ব্যবহার হবে।’’ হাসপাতালে এক কোভিড আক্রান্ত ভর্তি রয়েছেন। পাহাড়ে দার্জিলিং জেলা হাসপাতালে ও কালিম্পং জেলা হাসপাতালেও এই মহড়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের দাবি।

জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের কোভিডের চিকিৎসার জন্য হাইব্রিড ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের ১৮টি ভেন্টিলেটর ঠিক আছে বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরের। হাসপাতালে অতিরিক্ত ভেন্টিলেটর ও অক্সিজেন কনসেনট্রেটরগুলিও সচল রয়েছে বলে খবর। মহড়া হয়েছে কোচবিহারে মেডিক্যালে। সুপার রাজীব প্রসাদ বলেন, ‘‘আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত আছি।’’

Advertisement

মালদহ মেডিক্যালের সুপার তথা সহ-অধ্যক্ষ পুরঞ্জয় সাহা বলেন, ‘‘আমাদের প্রস্তুতিতে খামতি নেই। এ দিন কোভিড নিয়ে রুটিন মহড়া হয়েছে।’’ মহড়া হয়েছে বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল এবং গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে। জেলা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দুবিকাশ বাগ বলেন, ‘‘আরটিপিসিআর পরীক্ষাগার চালু রয়েছে। রায়গঞ্জ মেডিক্যালের সুপার প্রিয়ঙ্কর রায় বলেন, ‘‘সামান্য কিছু সমস্যা রয়েছে। সব প্রস্তুতি নিয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন