মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থী অমর সিংহের বিরুদ্ধে নির্দল হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে বিতর্কে পড়েছিলেন তৃণমূলের নকশালবাড়ি ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি গৌতম কীর্তনীয়া। সেই বিতর্কের জেরে তাঁকে বহিষ্কার করল তৃণমূল। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে বহিষ্কারের কথা জানান তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার ও জেলার নেতা কৃষ্ণ পাল। রঞ্জনবাবু বলেন, ‘‘গৌতমবাবু দলের ঘোষিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে মনোনয়ন জমা করে দলবিরোধী কাজ করেছেন। তাই তাঁকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল।’’ তিনি জানান, এর আগেও মহকুমা পরিষদের ভোটে দলকে সাহায্য না করার অভিযোগ উঠেছিল গৌতমবাবুর বিরুদ্ধে। যদিও গৌতমবাবুর দাবি, সমস্ত কিছুই তিনি দলকে জানিয়েই করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি নির্দল থেকে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত জেলা সভাপতিকে জানিয়েছিলাম। কোনও জবাবদিহি চাওয়া হয়নি। দল বিরোধী কোনও কাজ করেছি বলেও মনে করি না।’’ মানুষ বহিষ্কারের জবাব নির্বাচনে দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। গৌতমবাবুর দাবি বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত রাজ্য নেতৃত্ব জানেন না।
তৃণমূলের প্রার্থী মনোনয়নের পরও গৌতমবাবু মনোনয়ন জমা করা নিয়ে বিব্রত ছিলেন জেলা নেতৃত্ব। অমরবাবুর অনুগামীরাও প্রশ্ন তোলেন। তাঁরা দাবি করেন, এর ফলে দলের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। গৌতমবাবু ওই কেন্দ্রের বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী তথা কংগ্রেসের জেলা সভাপতি শঙ্কর মালাকারের তফসিলি জাতির শংসাপত্র জাল বলে অভিযোগ করেন। সেই সঙ্গে দলের প্রার্থী অমরবাবুর বিরুদ্ধেও মুখ খোলেন তিনি। অমরবাবুর পারিবারিক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে অনৈতিক কাজকর্মের অভিয়োগও তুলেছিলেন গৌতমবাবু। এমনকী জেলাসভাপতির কাছে চিঠি দিয়ে গৌতম দেবের বিরুদ্ধও ভূমিকা নিয়েও নানা প্রশ্ন তুলেছিলেন। শঙ্করবাবুর শংসাপত্র নিয়ে তিনি অভিযোগ করতে চাইলে গৌতমবাবু তাঁকে নিষেধ করেছিলেন বলে তিনি চিঠিতে অভিযোগও জানিয়েছিলেন। গৌতমবাবুকে দল থেকে বহিষ্কার করায় এবার তাঁরাও খুশি। আইএনটিটিইউসি’র নকশালবাড়ি ব্লকের সভাপতি নির্জল দে বলেন, ‘‘দল বিরোধী কাজ করলে দলের তরফে তো ব্যবস্থা নেওয়া হবেই। না হলে ভুল বার্তা যেতে পারত।’’