Education

একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ঘর থেকেই ফেসবুক লাইভ হরিশ্চন্দ্রপুরের স্কুলে

হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলসীহাটা হাইস্কুলে একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা চলাকালীন ক্লাসঘর থেকে ফেসবুকে ওই ‘লাইভ ভিডিয়ো’ ছড়িয়ে পড়ে বলে দাবি।

Advertisement

বাপি মজুমদার

হরিশ্চন্দ্রপুর শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২০ ০২:৫৩
Share:

বেআইনি: ফোন নিয়ে পরীক্ষায় পড়ুয়ারা। নিজস্ব চিত্র

পরীক্ষা তখন চলছে। এর মধ্যেই একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার হল থেকে ‘লাইভ’ হল একটি ভিডিয়ো। সেখানে দেখা যাচ্ছে, পরীক্ষার্থীরা ডেস্কের উপরে খাতা ছড়িয়ে বসেছেন। শোনা যাচ্ছে একে অন্যকে উত্তর বলে দেওয়ার আওয়াজ। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, এক পড়ুয়ার পাশে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের পরীক্ষার বই। শিক্ষকের উপস্থিতিতে হলের মধ্যে হাসতে, হাত নাড়তে এবং চুল ঠিক করতেও দেখা যাচ্ছে এক পরীক্ষার্থীকে।

Advertisement

হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলসীহাটা হাইস্কুলে একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা চলাকালীন ক্লাসঘর থেকে ফেসবুকে ওই ‘লাইভ ভিডিয়ো’ (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) ছড়িয়ে পড়ে বলে দাবি। ঘটনাটি বিকেল সাড়ে চারটের। তিন মিনিট একচল্লিশ সেকেন্ডের ‘ফেসবুক লাইভ’ নিমেষে ‘ভাইরাল’ হয়ে যায়। ঘণ্টা দুয়েক বাদে অবশ্য ফেসবুক থেকে ভিডিয়োটি মুছে দেয় ওই পরীক্ষার্থী। কিন্তু বোর্ডের অধীনে হওয়া এই পরীক্ষার ঘর থেকে এ ভাবে লাইভ ভিডিয়ো কী ভাবে সম্ভব হল তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক হরেন্দ্রনাথ পাল বলেন, ‘‘কে বা কারা এমন করেছে, তা দেখছি।’’

উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে সাধারণত সকাল ১০টা থেকে সোয়া একটা পর্যন্ত দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা হয়। তার পরে দুটো থেকে সোয়া পাঁচটা পর্যন্ত একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা হয়। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের যে নিয়মে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়, একাদশ শ্রেণির পরীক্ষাতেও সেই একই নিয়ম থাকে। অর্থাৎ, একাদশ শ্রেণির পরীক্ষাকেন্দ্রেও মোবাইল ফোন নিয়ে ঢোকা নিষিদ্ধ। তার পরেও কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।

Advertisement

ঘটনার জেরে ক্ষুব্ধ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার হরিশ্চন্দ্রপুর কেন্দ্রের সম্পাদক মহম্মদ মোফিজুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘‘বোর্ডের প্রশ্নপত্র ও বোর্ডের অধীনে হলেও একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা স্কুল কর্তৃপক্ষই পরিচালনা করেন। এ ক্ষেত্রে তাঁদের সতর্ক থাকা উচিত ছিল। পরীক্ষার্থী হলে মোবাইল নিয়ে ঢুকল কী ভাবে? বিষয়টি দেখছি। প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।’’

পরীক্ষাকেন্দ্রে যে মোবাইল নিষিদ্ধ, তা ওই পরীক্ষার্থীর অজানা নয়। তার পরেও কেন এবং কী ভাবে সে মোবাইল নিয়ে হলে ঢুকল? ফেসবুকে লাইভ ভিডিয়ো করা ওই পরীক্ষার্থীর অবশ্য দাবি, ‘‘অনেকেই মোবাইল নিয়ে হলে ঢুকেছিল। কেউ তল্লাশি করেনি বলে আমিও মোবাইল নিয়ে হলে ঢুকি। আর নিছক মজা করতেই ফেসবুকে লাইভ পোস্ট করেছিলাম।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন