রক্ত পরীক্ষার দু’রকম রিপোর্ট

ঘোঘোমালির বাসিন্দা বিক্রম তালুকদার নামে এক রোগীর প্লেটলেট কাউন্ট সোমবার ৪০ হাজারের মতো ছিল শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের পরীক্ষায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৭ ০২:৩৯
Share:

অপেক্ষা: হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা। ছবি: স্বরূপ সরকার।

শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রোগীর প্লেটলেট পরীক্ষা রিপোর্ট এবং একই দিনে বাইরের প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরিতে করা পরীক্ষার রিপোর্টে বিস্তর ফারাক দেখে উদ্বিগ্ন রোগীর স্বজনরা।

Advertisement

অভিযোগ, ঘোঘোমালির বাসিন্দা বিক্রম তালুকদার নামে এক রোগীর প্লেটলেট কাউন্ট সোমবার ৪০ হাজারের মতো ছিল শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের পরীক্ষায়। অথচ বাইরের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষায় দেখা যায় প্লেটলেট রয়েছে ১ লক্ষ ২০ হাজারের মতো। মঙ্গলবার হাসপাতালের পরীক্ষায় প্লেটলেট বেড়ে দাঁড়ায় ৭০ হাজার। বেসরকারি ল্যাবরেটরির হিসাবে সংখ্যাটা এক লক্ষের উপরে। একই ভাবে অবজারভেশন ওয়ার্ডে ভর্তি আরেক রোগীর দেহে প্লেটলেটের সংখ্যা মঙ্গলবার ছিল ৪৪ হাজারের মতো। ওই দিনই বাইরে পরীক্ষায় দেখা যায় প্লেটলেট রয়েছে দ্বিগুণের বেশি। তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।

বৃহস্পতিবার পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব হাসপাতাল পরিদর্শনে গেলে তাঁকেও বিষয়টি জানানো হয়। মন্ত্রী বলেন, ‘‘দুই একটি ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনা নজরে এসেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঠিক রয়েছে বলেই জেনেছি। তবু বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’’ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য জানান, দুই একটি ক্ষেত্রে এ ধরনের অভিযোগ তাঁদের কাছে এসেছে। ওই রিপোর্টগুলো দেখা হচ্ছে। ফের ওই রক্তের নমুনাগুলো পরীক্ষা করা হবে বলে তিনি জানান। তা ছাড়া কী ভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে, পদ্ধতিগত কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না দেখা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘বেসরকারি ল্যাবরেটরিগুলোর পরীক্ষা ব্যবস্থাও আমরা খতিয়ে দেখব।’’ হাসপাতালের সুপার অমিতাভ মণ্ডল জানিয়েছেন, যে রক্ত পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে তা ফের পরীক্ষার জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে এ দিনই পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

কার্শিয়াঙে তিন জনের শরীরে এ দিন ডেঙ্গির জীবাণু ধরা পড়েছে বলে স্থানীয় কাউন্সিলর শ্যাম শেরপা বৃহস্পতিবার দাবি করেছেন। ওই রোগীরা কার্শিয়াং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তা জানার পরেই শহর সাফসুতরো করার কাজে জোর দেওয়া হয়েছে।

কার্শিয়াং পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্যাম শেরপা বলেন, ‘‘ডেঙ্গি যাতে না ছড়ায় সে জন্য সাফাইয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। সবাই মিলে এ দিন সাফাই অভিযান শুরু হয়েছে। মশা যাতে না জন্মায় তা দেখতে হবে। বিভিন্ন এলাকায় স্প্রে করা, ব্লিচিং ছড়ানো হচ্ছে।’’ সেই সঙ্গে বাসিন্দাদেরও এ ব্যাপারে সচেতন হতে আহ্বান জানান তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন