কালিম্পঙের রকি আইল্যান্ডে মূর্তি নদী থেকে উদ্ধার হওয়া যুবক টিটু রায়কে খুন করা হয়েছে বলে আগেই সন্দেহ প্রকাশ করেছিল তার পরিবার। সোমবার সন্ধ্যায় জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানায় টিটুর দিদি মিতালী রায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন৷ পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগটি কালিম্পঙের জলঢাকা থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে৷
গত ২২ জানুয়ারি বন্ধুদের সঙ্গে রকি আইল্যান্ডে পিকনিক করতে গিয়েছিলেন টিটু৷ অভিযোগ, সেখানে অন্য একটি দলের সদস্যদের সঙ্গে তাদের গোলমাল বাধে৷ তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন টিটু৷ শনিবার রকি আইল্যান্ডে মুর্তি নদী থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়৷
এ দিন মিতালীদেবী তাঁর অভিযোগে জানিয়েছেন, ২২ জানুয়ারি পিকনিক করতে যাওয়া ১৯ জনের মধ্যে বাকিরা রাত আটটা নাগাদ ফিরে এলেও তাঁর ভাই ফেরেননি৷ অন্যদের কাছে খোঁজ করলে তারা জানায়, রকি আইল্যান্ডে দু’দলের মারামারি হয়৷ কয়েকজনের মাথা ফেটে যায়৷ মিতালীদেবীর আরো অভিযোগ, টিটুকে কেউ মেরে ফেলেছে৷ এবং এর পেছনে পিকনিক কমিটি রয়েছে।
কিন্তু সে দিন কি নিয়ে রকি আইল্যান্ডে বচসা হয়েছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ সে দিন পিকনিকে উপস্থিত টিটুর তুতো দাদা জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘পিকনিক চলতে চলতেই আচমকা দেখি গোলমাল বেধে গেল৷ সবাই পাথর ছুড়তে শুরু করল৷ কি নিয়ে গোলমাল তা বোঝার আগেই ওরা আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল৷’’ একই কথা জানিয়েছেন আরেক যুবক জয় দেবনাথও৷ তাঁর কথায়, ‘‘কোন একটা বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি থেকে এই গোলমালটা বেঁধেছিল বলে সবাই বলছে৷ কিন্তু কি নিয়ে সেই কথা কাটাকাটি তা স্পষ্ট নয়৷ স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য লক্ষ্মী দাস বলেন, ‘‘সে দিন কি নিয়ে গোলমালের সূত্রপাত তা আমিও জানার চেষ্টা করেছি৷ কিন্তু বিষয়টা আমার কাছেও এখনও স্পষ্ট নয়।’’
টিটুর পরিবার খুনের অভিযোগ করলেও, ঠিক কী ভাবে টিটুর মৃত্যু হল তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে৷ কালিম্পঙের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অম্লান ঘোষ জানান, তাঁরা ময়না তদন্তের রিপোর্ট এখনও হাতে পাননি৷ জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, ‘‘টিটুর বাড়ির লোকেদের দায়ের করা অভিযোগটি আইনী পদ্ধতি মেনে আমরা কালিম্পঙের সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠিয়ে দেব৷ তদন্তে কোনও সাহায্যের প্রয়োজন হলে তাও করা হবে৷’’