ভয়াবহ আগুন আসবাবপত্রের দোকানে। —নিজস্ব চিত্র।
রবিবার রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড শিলিগুড়ির দার্জিলিং মোড়ে। গভীর রাতে একটি আসবাবপত্রের দোকানে আগুন লেগে যায়। আগুনে ভস্মীভূত চারটি দোকান। মুহূর্তের মধ্যে আগুন আশপাশের আরও চারটি দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেবানোর কাজে হাত লাগায়। বেশ কিছু সময়ের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকারও বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় এখনও প্রর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর মেলেনি।
পুলিশ ও দমকল সূত্রে খবর, রবিবার রাতে ওই আসবাবপত্রের দোকানে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় চারটি দোকান। ঘটনার খবর পেয়ে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। ব্যবসায়ীদের অনুমান, শর্ট সার্কিট অথবা এলাকায় ঘুরে বেড়ানো নেশাগ্রস্তদের ধূমপানের কারণে আগুন লেগে থাকতে পারে। দোকানের ভিতর সব কিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। আশঙ্কা, ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০ লক্ষ টাকারও বেশি।
ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ এবং পুরনিগমের কাউন্সিলর তথা বোরো চেয়ারম্যান গার্গী চট্টোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন।
শঙ্কর বলেন, “প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে রয়েছে এবং সবরকম সহযোগিতা করা হবে। ঘটনার খবর পেয়ে এলাম। সব রকম সাহায্যের জন্য আমরা তৈরি।” শহরে লাগাতার ঘটতে থাকা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে দমকল বিভাগকে ব্যবসায়ীদের ফায়ার সেফটি প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরামর্শ দেন বিধায়ক। পাশাপাশি, অগ্নি নির্বাপক ব্যাবস্থা নিয়ে আরও সতর্ক হতে বলেন তিনি।
অন্য দিকে, গার্গী বলেন, “দুঃখজনক ঘটনা। পুরনিগম এই কঠিন সময়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সাহায্য করা হবে।”
শিলিগুড়ি ফায়ার স্টেশনের অফিসার বিল্পব ঠাকুর বলেন, “শিলিগুড়ি ও মাটিগাড়া মিলিয়ে মোট তিনটি ইঞ্জিন একত্রে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে৷ চারটি দোকান পুড়ে গিয়েছে। বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে৷ তবে আগুন লাগার কারণ তদন্ত করে দেখতে হবে।”