রাজ্যের সাহায্যদানের অনুষ্ঠানেও অব্যাহত রাজনৈতিক চাপান-উতোর
Firhad Hakim At Mizoram

রাজ্যপালকে দোষারোপ মন্ত্রীর

শ্রমিকদের মৃত্যুর ঘটনায় চাপান-উতোরও অব্যাহত। শুক্রবার চৌদুয়ার, কোকলামারি, কুতুবগঞ্জ গ্রামে গিয়ে রেলসেতু দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে রেলের তরফে ১০ লক্ষ টাকার অনুদান তুলে দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

Advertisement

অভিজিৎ সাহা

মালদহ শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২৩ ০৭:২৮
Share:

মিজোরামে নিহত শ্রমিকের পরিবারের হাতে রাজ্য সরকারের দেওয়া চেক তুলে দিলেন ফিরহাদ হাকিম। চৌদুয়ার গ্রামে। ছবি স্বরূপ সাহা।

চার বছরের মেয়েকে নিয়ে বসে জাহানারা বেগম। ‘সরকারি সুবিধা প্রদান অনুষ্ঠান’ মঞ্চে মিজ়োরামে রেল সেতু ভেঙে পড়ে মৃত শ্রমিকদের ছবি সাজাতেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি। তাঁর মতোই স্বামীর ছবি দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি মৃত মোজাম্মেল হকের স্ত্রী সাবনুর খাতুন। রবিবার এ ছবি দেখা গেল, মালদহের পুখুরিয়ার কোকলামারি হাই স্কুল মাঠে। এ দিন দুপুরে কোকলামারি হাই স্কুল এবং ইংরেজবাজারের সাট্টারিতে পৃথক মঞ্চ থেকে মিজ়োরামে মৃত জেলার ২৩টি শ্রমিকের পরিবারের হাতে সরকারি সাহায্য দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের গ্রামে রেলের অনুদান তুলে দেওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেন তিনি।

Advertisement

পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যুর ঘটনায় চাপান-উতোরও অব্যাহত। শুক্রবার চৌদুয়ার, কোকলামারি, কুতুবগঞ্জ গ্রামে গিয়ে রেলসেতু দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে রেলের তরফে ১০ লক্ষ টাকার অনুদান তুলে দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এ দিন মৃতদের পরিবারকে রাজ্যের তরফে দু’লক্ষ ৪০ হাজার টাকার অনুদান দিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “রাজ্যপাল কেন্দ্রের প্রতিনিধি নন। তিনি রেলের আধিকারিকও নন। তবুও তিনি রেলের ক্ষতিপূরণ নিজের হাতে দিয়ে গেলেন। তিনি রাজ্য সরকারকে উপদেশ দিতে পারেন। তিনি এ ভাবে জেলায় আসতে পারেন না।” এর পরে, রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, “চেক তুলে দিলেই রেলের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, কার ভুলে এমন হল, সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে। তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।”

ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়ে কংগ্রেস নেতা ইশা খান চৌধুরী বলেন, “নির্মীয়মাণ সেতু ভেঙে দুর্ঘটনার চার দিন পরেও রেল তদন্ত করল না।” যদিও তদন্ত চলছে বলে জানান রেল কর্তৃপক্ষ। বিজেপির উত্তর মালদহের সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, “মৃতদের পরিবারকে সাহায্যের জন্য মঞ্চ বাঁধতে হয় না। বাড়িতে গিয়ে তা করতে হয়। রেল অনুষ্ঠান করে সাহায্য করেনি।”

Advertisement

এ দিন মৃতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা ঋণের জন্য ক্রেডিট কার্ড, বিধবা ভাতা, লক্ষ্মীর ভান্ডারের সহায়তা দেওয়া হয়। মৃত মনিরুলের মা উদিয়া বেগম বলেন, “বৌমাকে সরকার কাজ না দিলে পরিবার ভেসে যাবে।” তাঁদের এই দাবিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান ফিরহাদ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন