গুলি রহস্য কাটেনি

গুলি কে করেছে এক দিকে তা নিয়ে এখনও অন্ধকারে হাতড়ে বেড়াচ্ছে পুলিশ। অন্য দিকে মৃত তাপস বর্মণের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট রবিবার পর্যন্ত হাতে আসেনি পুলিশের। তার আগেই পুলিশ গুলি চালায়নি বলে পুলিশ সুপার অভিমত দেওয়ায়, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

অভিজিৎ পাল

ইসলামপুর শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:৪৮
Share:

পাহারায়: দাড়িভিটে ঢুকতে পারছে না পুলিশ। পাশের এলাকায় বসেছে পুলিশ পিকেট। রবিবার। নিজস্ব চিত্র

গুলি কে করেছে এক দিকে তা নিয়ে এখনও অন্ধকারে হাতড়ে বেড়াচ্ছে পুলিশ। অন্য দিকে মৃত তাপস বর্মণের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট রবিবার পর্যন্ত হাতে আসেনি পুলিশের। তার আগেই পুলিশ গুলি চালায়নি বলে পুলিশ সুপার অভিমত দেওয়ায়, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশেরই একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার কথা। তবে ফরেন্সিক তদন্ত হলে সব কিছু পরিষ্কার হবে বলেই পুলিশের একটা অংশ মনে করছে।

Advertisement

পুলিশ গুলিতেই ইসলামপুর আইটিআই-র ছাত্র রাজেশ সরকার এবং ইসলামপুর কলেজের ছাত্র তাপস বর্মণের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ তা অস্বীকার করেছে। তবে কে গুলি চালাল, তার কোনও হদিশ দিতে পারেনি পুলিশ। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে অবশ্য দেহ ফের তদন্তের দাবি চেয়ে তা কফিন বন্দি করে কবর দিয়েছে পরিবারের লোকেরা। পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, ‘‘পুলিশ গুলি চালায়নি। ঘটনার তদন্ত চলছে।’’

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ইসলামপুর থানার পুলিশ দাড়িভিট এলাকাতে গন্ডগোল ও খুনের ঘটনায় বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে খুনের মামলাও রুজু করেছে। তবে কোনও অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশ নিজের দোষ ঢাকতে এলাকার নিরীহ যুবকদের গ্রেফতার করছে।

Advertisement

পুলিশের দাবি, গুলি চালানোর ঘটনায় কোন ভাবেই পুলিশ কর্মীরা জড়িত নয়। পুলিশ কোন দিনও কোন গন্ডগোলে সরাসরি গুলি চালায় না। প্রয়োজন হলে পাম্প অকশন গান থেকে গুলি ছুড়ে, এমনকি রাবার বুলেট ও হ্যান্ড গ্রেনেড ছোড়া হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। তবে সেই গুলিতে মারা যাওয়া সম্ভব নয়। পুলিশের দাবি, ঘটনার দিন এক শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়ে যান। তাঁকে উদ্ধার করতেই গেটের তালা ভেঙে ঘরে ঢুকেছিল পুলিশকর্মীরা। সেখানে তাদের সঙ্গে গন্ডগোল বাধে এলাকার বাসিন্দাদের। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, এদিন সেখানে স্থানীয় ছাত্রছাত্রীরাই বিক্ষোভে সামিল হয়েছিল। বিষয়টি নিয়েই বারবার সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন মৃতের পরিবারের লোকেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন