Coronavirus in North Bengal

এ বার হানা জেলা সদরে

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর বাড়ি শহরের কৃষ্ণকালীতলায়। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি হোম কোয়রান্টিনে রয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

মালদহ ও রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০২০ ০৮:১০
Share:

প্রতীকী ছবি

এ বার করোনার হানা মালদহের জেলা সদর ইংরেজবাজার শহরে। মালদহ মেডিক্যালের সুপার স্পেশ্যালিটি ব্লকের সারি হাসপাতালের এক নার্সের লালারসের নমুনা পজ়িটিভ মিলল।

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর বাড়ি শহরের কৃষ্ণকালীতলায়। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি হোম কোয়রান্টিনে রয়েছেন। ওই নার্সের সংস্পর্শে কারা এসেছিলেন তার খোঁজ শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতর এবং পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই নার্স-সহ সোমবার জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ জন। বাকিদের বাড়ি হবিবপুর ও গাজলে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মোট আক্রান্ত হলেন ২২৭ জন।

এ দিকে, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভাইরোলজি ল্যাবে রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত ১৯৯১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তার মধ্যে একক পরীক্ষা হয়েছে ৫১৯টি, বাকি ১৪৩২টি পুল টেস্ট। ফলে বকেয়া নমুনার সংখ্যা কমে হয়েছে ৯৯৬টি। রবিবার রাত পর্যন্ত ল্যাবে নমুনা জমা পড়ে ১৭টি। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বেশি সংখ্যায় পুল টেস্ট করে বকেয়া একেবারেই কমিয়ে আনা হবে।

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নার্স ৪ জুন পর্যন্ত সারি হাসপাতালে ডিউটি করেন। তার পরে তাঁকে ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছিল। ৪ জুন তাঁর লালারসের নমুনাও সংগ্রহ করা হয়। রবিবার রাতে রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, এই খবর ছড়াতেই কৃষ্ণকালীতলা এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। বাসিন্দাদের একাংশ ওই নার্সের বাড়ি যাওয়ার রাস্তার মুখে বাঁশের ব্যারিকেড বেঁধে দেন। ইংরেজবাজার পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য দুলাল সরকার বলেন, ‘‘আক্রান্তের বাড়ি এবং সংলগ্ন এলাকা জীবাণুমুক্ত করা হবে।’’

এ দিন গাজলে তিন জনের নমুনার রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। তাঁদের বাড়ি করকচ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপডেল গ্রামে। আক্রান্তদের এক জন চিকিৎসার জন্য বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন। ৪ জুন বাসে জেলায় ফেরেন। অন্য দু’জন পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁরা ৪ জুন গুজরাত থেকে ট্রেনে জেলায় ফেরেন। এক জন আক্রান্ত হয়েছেন হবিবপুর ব্লকের ঋষিপুর গ্রামে। তিনিও পরিযায়ী শ্রমিক এবং গুজরাত থেকে ফিরেছিলেন ২ জুন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ওই নার্সকে আপাতত হোম কোয়রান্টিনে রাখা হয়েছে। বাকি ৪ জনকে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’’

অন্য দিকে রায়গঞ্জ পুর এলাকার আরও এক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি শহরের দেবীনগর রামকৃষ্ণপল্লি এলাকার বাসিন্দা। শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে টেকনিসিয়ানের কাজ করেন। ১৪ দিন হোম কোয়রান্টিনে থাকার পরে ১ জুন তিনি শিলিগুড়িতে ফেরেন। ৩ জুন সেখানেই তাঁর লালারস পরীক্ষা করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন