নেই নোট, পেটিএমেই মাছ ব্যবসা

আড় মাছের টাটকা পেটির টুকরোগুলো কিনতে গিয়েও পকেট হাতড়ে খদ্দেরের মুখ চুন। ভাল মাছ বাজারে বয়ে এনেও দিনের শেষে খালি হাতে ফিরছিলেন ব্যবসায়ীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:৪২
Share:

দোকানে রাজেশ শর্মা।—নিজস্ব চিত্র

আড় মাছের টাটকা পেটির টুকরোগুলো কিনতে গিয়েও পকেট হাতড়ে খদ্দেরের মুখ চুন। ভাল মাছ বাজারে বয়ে এনেও দিনের শেষে খালি হাতে ফিরছিলেন ব্যবসায়ীরা। খুচরো নিয়েও প্রায় প্রতিনিয়ত খদ্দেরদের সঙ্গে চলছে মনোমালিন্য৷ সমস্যা এড়াতে মাছ ব্যবসায়ীরাও বাজারে বসে চালু করছেন পেটিএম-এ কেনাবেচার ব্যবস্থা।

Advertisement

সমস্যা শুরুর পর থেকেই নগদ টাকা ছাড়াও পেটিএমের মাধ্যমে মাছ বিক্রি করছেন রাজেশ সাহা৷ জলপাইগুড়ি স্টেশন বাজারে অনেক বছরের দোকান নেতাজি সুভাষ উন্নয়ন পল্লির বাসিন্দা রাজেশের। তাঁর কথায়, ‘‘একে তো নোট সমস্যার জন্য মাছের বাজার পড়ে যায়৷ তার ওপর যে কয়েক জন মাছ কিনতে আসতেন, তাঁদের সঙ্গেও খুচরো নিয়ে সমস্যা লেগেই থাকত৷’’ সমাধান সূত্র ভাবতে ভাবতেই একদিন টিভিতে পেটিএমের বিষয়টি জানতে পারেন তিনি৷ কিন্তু কী ভাবে ব্যবহার করতে হয়, জানতে না তখনও। শেষে এক বন্ধুর সাহায্যে মোবাইল ফোনে পেটিএমের মাধ্যমে মাছ বিক্রির টাকা লেনদেন করতে শিখে নেন রাজেশ৷ দোকানের সামনে বোর্ডও লাগিয়ে দেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এখন অনেক খদ্দেরই এর মাধ্যমে মাছের দাম দিচ্ছেন৷’’ স্টেশন বাজার থেকে নিয়মিত বাজার করেন সুমিত দাস৷ তাঁর কথায়, ‘‘বেশির ভাগ এটিএমেই দু’হাজারের নোট মিলছে৷ দু’শো-তিনশো টাকার মাছ কিনলে কেউ বড় নোট খুচরো করে দিতে চান না৷ ওঁর দোকানে এই ব্যবস্থা চালু হওয়ায় খুব সুবিধা হয়েছে।’’ তবে শুধু রাজেশ সাহাই নন, তাঁর মতো আরো অনেক ছোট ব্যাবসায়ীও এখন পেটিএমের মাধ্যমে লেনদেনের দিকে ঝুঁকতে চাইছেন৷ রাজেশবাবুর জানান, ‘‘আমি এই ব্যবস্থা চালুর পর অনেকেই এসে আমায় বলছেন তাঁরাও এটা শুরু করতে চান৷ এখন আমিই পরামর্শ দিচ্ছি কী ভাবে সকলে এর ব্যবহার করতে পারেন!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement