প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত জলপাইগুড়ি

একটানা বৃষ্টিতে বিপদ বাড়ছে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায়। শনিবার রাত থেকেই পাহাড় ও সমতলে ক্রমাগত বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়েছে জনজীবন। রবিবারও একটানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়েছে জেলার বিভিন্ন এলাকা। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হলেও সরব হয়েছে বিরোধীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৫ ১৩:১৮
Share:

ছবি: দীপঙ্কর ঘটক।

একটানা বৃষ্টিতে বিপদ বাড়ছে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায়। শনিবার রাত থেকেই পাহাড় ও সমতলে ক্রমাগত বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়েছে জনজীবন। রবিবারও একটানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়েছে জেলার বিভিন্ন এলাকা। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হলেও সরব হয়েছে বিরোধীরা।

Advertisement

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে জলপাইগুড়ির প্রতিটি নদীর জলস্তর বাড়ছে। তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে জলঢাকা নদীতে হলুদ সঙ্কেত জারি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, গত কাল রাত ১০টা থেকেই একটানা বৃষ্টিপাত চলছে। এর জেরে জলবন্দি হয়ে পড়েছে জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি, বিন্নাগুড়ি ও বানারহাটের বিস্তীর্ণ এলাকা। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সেচ দফতর তথা প্রশাসনিক কর্তারা। ত্রাণ শিবিরের প্রয়োজন হলে সে বিষয়েও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

বৃষ্টিপাতের ফলে জেলায় নিকাশির বেহাল দশা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি নিয়ে পুর প্রশাসনের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন বিরোধীরা। জলপাইগুড়ি পুরসভার বিরোধী দলনেতা সিপিএমের প্রমোদ মণ্ডল এ দিন বলেন, “বার বার বলা সত্ত্বেও নিকাশি ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে ব্যর্থ প্রশাসন। বিষয়টি গুরুত্বই দিতে চায়নি তারা।” তবে এই অভিযোগ খণ্ডন করে পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, “যে ভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে প্রশাসনের কিছু করার নেই। বৃষ্টি থামলে জমা জল নেমে যাবে।” মহকুমাশাসক সীমা হালদার বলেন, “পরিস্থিতির দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। ত্রাণ শিবির খোলার প্রয়োজন হলে সে ব্যবস্থাও করা হবে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement