ফুটপাথ দখলের নালিশ, বিক্ষোভ

মিশনের সামনে ফুটপাথে দোকান ঘর তৈরির কাজ অব্যহত রয়েছে। এই অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার বিকেলে মালদহের রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশনের মূল গেটের সামনে অভিভাবক ও ছাত্রদের নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন মিশন কর্তৃপক্ষ। মিনিট দশেক ধরে বিক্ষোভ দেখানোর পরে মিশন কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ২২ মে ২০১৫ ০৩:০৮
Share:

বিক্ষোভে সামিল পডুয়ারাও। —নিজস্ব চিত্র।

মিশনের সামনে ফুটপাথে দোকান ঘর তৈরির কাজ অব্যহত রয়েছে। এই অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার বিকেলে মালদহের রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশনের মূল গেটের সামনে অভিভাবক ও ছাত্রদের নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন মিশন কর্তৃপক্ষ। মিনিট দশেক ধরে বিক্ষোভ দেখানোর পরে মিশন কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন। দোকান ঘর তৈরির কাজ বন্ধ না হলে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আনন্দোলনে নামবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন ওই মিশনের মহারাজ স্বামী তাপহরানন্দ। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের মন্ত্রী তথা পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী জোর করে কিছু দোকান মিশনের সামনের ফুটপাথে বসাচ্ছেন। দোকান ঘর কাজ শুরুর সময় আমরা বাধা দিয়েছিলাম। তবে মন্ত্রী শোনেননি। তাঁর নির্দেশে ব্যবসায়ীরা দোকান ঘর তৈরির কাজ করে চলেছেন। আমরা এ দিন বিক্ষোভ দেখিয়েছি। আগামীতে অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। দোকানগুলি উচ্ছেদ করা না হলে অভিভাবক ও ছাত্রদের নিয়ে মঞ্চ গড়ে আন্দোলন করব আমরা।’’ মন্ত্রী বলেন, ‘‘মিশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। দোকানগুলি মাত্র তিন মাসের জন্য করা হচ্ছে। এখানে মিশনের সঙ্গে আমার কোনও বিরোধ নেই। মিশনের প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে। তাই মিশনের কোনও ক্ষতি হোক আমি চাই না। তবে ব্যবসায়ীদের কথা ভেবে কয়েক মাসের জন্য ওই দোকানগুলি বসানো হচ্ছে।’’

Advertisement

ইংরেজবাজার পুরসভার ৮ নম্বর ওর্য়াডের দক্ষিণ বালুচর এলাকায় রয়েছে মালদহ রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশন। মিশনের সামনে ওর্য়াডের বাসিন্দাদের চলাফেরা করার জন্য রাস্তায় দোকান করছেন তিন ব্যবসায়ী। তাঁদের দোকান ঘরগুলি ছিল ওই ফুটপাথ লাগোয়া একটি ফাঁকা জায়গায়। ইংরেজবাজার পুরসভা সেই ফাঁকা জমিতে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই স্থানে ন্যাশানাল আরবান মিশন প্রকল্পে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি হবে দ্বিতল বিশিষ্ট। এর জন্য ন্যাশানাল মিশন প্রকল্প থেকে ৭৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। চলতি মাস থেকেই এর কাজ শুরু হবে। এই এলাকায় বস্তির সংখ্যা বেশি থাকায় এখানেই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তাই মন্ত্রী তথা বিদায়ী চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুবাবু ওই তিন ব্যবসায়ীকে দোকন ঘর তুলে নিয়ে গিয়ে ফুটপাথে বসার নির্দেশ দেন। গত ১৭ মে ওই ব্যবসায়ী দোকান ঘর তৈরির কাজ শুরু করতে গেলে মিশনের তরফে বাধা দেওয়া হয়। মিশনের মহারাজ স্বামী তাপহরানন্দ দাবি করেন, ‘‘প্রথমে মিশনের সামনের ফুটপাথে মাত্র একটি দোকান ছিল। দিনের পর দিন দোকানের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে চলাফেরায় সমস্যা হচ্ছে। বাধা দেওয়ায় সব ব্যবসায়ীরাই প্রথমে অস্থায়ী ভাবে বসার কথা বলেন। পরে তাঁরা স্থায়ী হয়ে যান। মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুবাবুর নির্দেশে ওই ব্যবসায়ীরা দোকান ঘর তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন