প্রতীকী ছবি
রাজ আমলের ঐতিহ্য ফেরাতে শহরকে সবুজ করে তোলার প্রকল্প হাতে নিয়েছে বন দফতর। রবিবার কোচবিহার শহরে প্রায় চল্লিশটি গাছ পোঁতা হয়। বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন নিজে উপস্থিত থেকে ওই গাছ রোপণ করেন। তিনি জানান, গোটা শহরে ফুল-ফলের পাঁচশোটি গাছ রোপণ করা হবে। এ দিন বকুল ফুলের গাছ লাগানো হয়।
মন্ত্রী বলেন, “রাজ আমলে রাস্তার দু’ধারে সবুজ গাছের সমারোহ ছিল। আশা করছি আগামী তিন বছরের মধ্যে ওই পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে পারব আমরা।”
কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামীও এ দিন বনমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। তিনিও ওই ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন।
প্রশাসন সূত্রের খবর, রাজ আমলে কোচবিহার শহরের প্রধান সড়ক তো বটেই এমনকী গলির রাস্তাতেও সবুজের সমারোহ ছিল চোখে পড়ার মতো। ফুল ও ফলের গাছও ছিল প্রচুর। সময়ের সঙ্গে ওই পরিবেশ হারিয়ে গিয়েছে। শহর ক্রমশ বড় হতে হতে রাস্তা ছোট হয়ে পড়েছে। অনেক জায়গায় রাস্তা ঘেঁষে বাড়ি, মােটি স্টোরি বিল্ডিং তৈরি হয়েছে। সে সবের জন্য গাছ কাটা হলেও নতুন করে আর গাছ রোপণ করার দিকে নজর দেওয়া হয়নি।
পরিবেশপ্রেমীদের অভিযোগ, বছর দশেক আগে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে উদ্যান পালন দফতরের তরফে রাস্তায় গাছ রোপণ করা হয়। সেই গাছগুলির বেশির ভাগ পরিচর্যার অভাবে নষ্ট হয়ে যায়। পরিবেশপ্রেমী সংস্থা ন্যাস গ্রুপের সম্পাদক অরূপ গুহ বলেন, “জন্মের পরে মা যেমন সন্তান পালন করেন, তেমন ভাবেই গাছের পরিচর্যা করতে হবে। গাছ বড় করে তোলা বড় ব্যাপার। সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়েই ওই কাজ করতে হবে।” সে ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন বনমন্ত্রী।