সপ্তাহ দুয়েক আগে আগে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলের গভীরে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছিল বেশ কয়েকজনকে। জঙ্গলে লুকানো গোপন ক্যামেরায় তা ধরাও পড়েছে বলে বনবস্তিবাসীদের অনেকের ধারণা। তাই গরুমারায় গন্ডার শিকারের ঘটনা জানাজানি হতেই জলদাপাড়া বন্যপ্রাণ বিভাগ ও বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল জুড়ে শুরু হয়েছে চিরুনি তল্লাশি।
বনকর্তাদের দাবি, এর আগেও দেখা গিয়েছে চোরাশিকারিরা একসঙ্গে একাধিক জঙ্গলে অপারেশন চালিয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০১৫ সালে জলদাপাড়া বন্যপ্রাণ বিভাগে তিনটি খড়গহীন গন্ডারের দেহ পাওয়া যায়। সেই সময় বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে একের পর এক উদ্ধার হয় দাঁত কেটে নিয়ে যাওয়া হাতির মৃত দেহ।
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডিএফডি কল্যান রায় জানান, দিন পনেরো আগে রাজাভাতখাওয়ার কাছে গভীর জঙ্গলে তিন সন্দেহভাজন ব্যাক্তিকে ব্যাগ পিঠে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছিল। সেই সময় আমরা ওই সন্দেহভাজনের খোঁজ চালিয়েছিলাম। কিন্ত কাউকে পাওয়া যায়নি। গরুমারা ঘটনার পরে জঙ্গলে ফের চিরুনি তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। জলদাপাড়া বন্যপ্রাণ বিভাগের ডিএফও ভাস্কর জেভি জানান, বনকর্মীরা জঙ্গলে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে। গন্ডারের আবাসস্থলে নজর বাড়ানো হয়েছে।
এক বনাধিকারিক জানান, অসম থেকে আসা চোরাশিকারীরা সাধারণত জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলিতে আশ্রয় নেয়। স্থানীয় স্পটাররা জঙ্গলের কোন অংশে হাতি ও গন্ডারের আনাগোনা থাকে তা শিকারিদের দেখিয়ে দেন। বছরখানেক আগে মেন্দাবাড়ি থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে একটি একে পঁয়তাল্লিশ রাইফেল উদ্ধার করে বনকর্মীর। গরুমারায় গন্ডার মারা আগে পরে জলদাপাড়া বা বক্সায় ঢুকে কোনও বন্যপ্রাণী হত্যা করেছে কি না চোরাশিকারিরা তাতে চিন্তায় বনাধিকারিকরা।