পিএফ না পেয়ে ধার

এক মাস আগে আবেদন করেও মেলেনি নিজের জমানো প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা। মেয়ের বিয়ে দিতে তাই চড়া সুদে মহাজনের কাছ থেকে টাকা ধার করতে বাধ্য হলেন মালদহের এক স্কুল শিক্ষক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০১৭ ১৪:০৪
Share:

এক মাস আগে আবেদন করেও মেলেনি নিজের জমানো প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা। মেয়ের বিয়ে দিতে তাই চড়া সুদে মহাজনের কাছ থেকে টাকা ধার করতে বাধ্য হলেন মালদহের এক স্কুল শিক্ষক।

Advertisement

২২ মে মেয়ে মৌমিতার বিয়ে ঠিক হয়েছে পুরাতন মালদহ ব্লকের নিউ জিএসএফ প্রাইমারি স্কুলের সহকারী শিক্ষক দীনেশচন্দ্র দাসের। বিয়ের খরচের জন্য প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে চার লক্ষ টাকা তুলতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক বদলির জেরে বিষয়টি এখনও ঝুলে রয়েছে। তাই শেষ মুহূর্তে বাধ্য হয়ে মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়েছেন দীনেশবাবু। জানা গিয়েছে, মোট তিন লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন তিনি। এ জন্য মাসে এক লক্ষ টাকায় ১০ হাজার টাকা সুদ দিতে হবে তাঁকে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন।

দীনেশবাবু জানান, পিএফ থেকে চার লক্ষ টাকা তুলতে চেয়ে ৬ এপ্রিল মালদহ সার্কলের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে আবেদন করেছিলেন। সার্কল থেকে সেই আবেদনপত্র জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতরে যায় ১১ তারিখ। কিন্তু তার পর থেকে সেই আবেদনপত্র লাল ফিতের ফাঁসে বন্দি। তিনি বলেন, ‘‘জেলা পরিদর্শকের দফতরে যোগাযোগ করেও টাকা মেলেনি।’’

Advertisement

জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক গোপাল বিশ্বাস ২৬ এপ্রিল বদলি হয়ে চলে গিয়েছেন। দফতরের ফিনান্স অফিসারও বদলি হয়েছেন। নতুন পরিদর্শক এখনও কাজে যোগ দেননি। যে সহকারী পরিদর্শককে জেলা পরিদর্শকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁর হাতে আর্থিক কোনও ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। ফলে দীনেশবাবুর আবেদন মঞ্জুর হয়নি। ভারপ্রাপ্ত জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক হিরণ্ময় মণ্ডল বলেন, ‘‘বিষয়টি আমি জানি। কিন্তু নতুন পরিদর্শক কাজে যোগ না দেওয়া পর্যন্ত কিছু করা সম্ভব নয়।’’

পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক দেবব্রত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দফতরে চরম অরাজক অবস্থা চলছে। স্থায়ী জেলা পরিদর্শক, ফিনান্স অফিসার কেউই নেই। পিএফের টাকা দীনেশবাবু যেমন পাচ্ছেন না তেমনই অনেক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক পেনশনও পাচ্ছেন না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন